প্রখর দাবদাহে প্রতিদিন সকালে পান করুন গিলয়ের জুস
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৩ জুন: প্রতিদিন সকালে গিলয়ের জুস পান করলে শরীরে জলের অভাব হয় না।এটি পান করলে হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা ৯০% কমে যায়।এটি শরীরের ফোঁড়া দূর করে এবং শরীরে শক্তি বাড়ায়।এটি আমাদের পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং মুখের স্বাস্থ্য সমস্যা,যেমন-ব্রণ,দাগ ইত্যাদিও দূর করে।
গ্রীষ্মের মরসুমে অনেক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।তাই এই ঋতুতে মানুষকে নিজের বিশেষ যত্ন নিতে হয়।এই সময় চিকিৎসকরাও খাবারের চেয়ে বেশি পানীয় পান করার পরামর্শ দেন,যাতে শরীরে জলের ঘাটতি না হয়।শরীরে যাতে জলশূন্যতা না হয়,শরীরকে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচাতে আপনি গিলয় খেতে পারেন,যার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
গিলয় আয়ুর্বেদ জগতে একটি ওষুধ যা প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে।ঝাড়খণ্ড,বিহারে এটি হাড়জোড়োয়া নামে পরিচিত।এর অপর নাম টিনোস্পোরা কর্ডিফোলিয়া, যা শরীরের অনেক রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়।আয়ুর্বেদ অনুসারে, আপনি প্রতিদিন গিলোয়ের রস পান করে অনেক রোগ থেকে বাঁচতে পারেন।
আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ডাঃ রাম নারায়ণ কারক বলেন যে,গিলয় আপনার শরীরে চটপট ও দ্রুত কাজ করে।আপনি যদি গ্রীষ্মের মরসুমে এটি খান,তবে এটি আপনার জন্য একটি ওষুধের চেয়ে কম নয়।আপনি যদি এটিকে আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করেন এবং সকালে গিলয় খান তবে এটি আপনাকে ডিহাইড্রেশন এবং দুর্বলতা থেকেও রক্ষা করে।সাথে এটি আপনাকে আরও অনেক রোগ থেকেও রক্ষা করে।
অনেক জেলায় তাপমাত্রা এতটাই বেশি যে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঘর থেকে বের হওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।তব কোনও কারণে বাইরে বের হতে হলে সবসময় আপনার সাথে একটি জলের বোতল রাখুন।প্রতিদিন সকালে গিলয়ের ডাল কেটে নিন এবং দশ থেকে পনেরটি ডাল জলে ভিজিয়ে রাখুন।এই ডাঁটা জলে ভালো করে মেশান তারপর জল ছেঁকে নিন।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment