শিশু রাতকানা রোগে আক্রান্ত হলে যা করবেন
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ০১ জুন:
জেরোপথ্যালমিয়া নামের এক ধরনের রোগ,যা ভিটামিন এ-এর অভাব হয়ে থাকে। এই রোগেরোগের মোট ৮ থেকে ৯টি পর্যায় আছে।এর মধ্যে শেষ পর্যায় চোখের কর্নিয়া একদম নষ্ট হয়ে যায়। রোগী সম্পূর্ণরূপে দৃষ্টিশক্তি হারান। তবে এই রোগের প্রথম পর্যায়টি হচ্ছে রাতকানা রোগ।
ভিটামিন এ-এর অভাবে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে শিশুরা রাতকানা রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। আমাদের দেশে ৬ বছর বয়সের শিশুরা রাতকানা রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।
রোগের কারণ:
১)বাচ্চা অল্প ওজনের জন্ম হলে অর্থাৎ অপুষ্টিতে ভোগা শিশুরা এ রোগে আক্রান্ত বেশি হয়।
২)শরীরে ভিটামিন এ-এর অভাব।
৩)বাড়ন্ত বয়সের শিশুদের অতিরিক্ত খাদ্যের চাহিদা পূরণ না হলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
৪)নিউমোনিয়া,ডায়রিয়া ইত্যাদি রোগ হলে।
রাতকানার লক্ষণ:
●প্রাথমিক পর্যায়ে ভোরের ও সন্ধ্যার অল্প আলোতে দেখতে অসুবিধা হয়।
●পরে চোখ শুষ্ক অনুভূত হয়।
●চোখে ছোট ছোট ছাই রঙের দাগ দেখা দেয়।
●অনেক সময় কর্নিয়ায় ফোঁড়ার মতো দেখা দেয়।
●চোখের কর্নিয়ায় ঘা হয়ে কর্নিয়া ঘোলাটে হয়ে যায়।
প্রতিরোধে করণীয়:
১)মায়ের দুধে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ থাকে। তাই জন্মের পর শিশুকে মায়ের বুকেরদুধ খাওয়াতে হবে।
২)সন্তানকে জন্মের প্রথম পাঁচ সপ্তাহ মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।সম্ভব হলে ২ বছর পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
৩)৯ মাস বয়সে শিশুকে হামের টিকার সঙ্গে একটি নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।
৪)১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে বছরে দুবার ৬ মাস অন্তর অন্তর জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন বা জাতীয় টিকা দিবসের সময় একটি লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।
৫)শিশুকে কোনোভাবে অপুষ্টিতে ভুগতে দেওয়া যাবে না।
No comments:
Post a Comment