বন্যায় মাছ চাষীদের ক্ষতি কমাতে কিছু পরামর্শ
রিয়া ঘোষ, ২৪ জুন : যেসব কৃষক জলাশয়গুলো বন্যার জলে তলিয়ে গেছেন কিন্তু সম্পূর্ণ মাছ ধরতে পারেননি বা মাছ ধরতে পারেননি তারা জলাশয়ে বাঁশ, ডালপালা ইত্যাদি লাগাতে পারেন, যাতে জলাশয় জলে ডুবে যায় মাছের আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ফলস্বরূপ, জল কমার পরে অন্যান্য মাছের সাথে আরও দেশী মাছ/ছোট মাছ পাওয়া যাবে। এতে ক্ষতি অনেকটাই কমে যাবে।
সম্ভব হলে, জলাধারে সহজলভ্য কিছু খাদ্য সামগ্রী ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু অনেক না। ফলে খাদ্যের প্রয়োজনে মাছ জলাশয়ে থাকবে এবং অন্যান্য দেশি মাছ ঢুকবে। এটি পরীক্ষামূলক এবং খুব দরকারী। খাবার হিসেবে দেওয়া যেতে পারে-
এ বন্যার সময় প্রচুর শামুক পাওয়া যায়, সেগুলো সংগ্রহ করুন, শামুকের খোসা তুলে ফেলুন, মাংস রোদে শুকিয়ে সামান্য পিষে ধানের তুষ সহ জলাশয়ে ব্যবহার করুন। এই খাবার মাছকে আকর্ষণ করে।
বন্যার সময় বাড়ির আশেপাশে প্রচুর কেঁচো পাওয়া যায় এবং সেগুলো সংগ্রহ করে পুকুরে ব্যবহার করা গেলে একদিকে যেমন পরিবেশের জন্য ভালো হবে, তেমনি মাছরাও সেগুলোকে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করবে।
ধানের খড় ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে অতিরিক্ত নয় (প্রতি মাসে একবার ৫০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি)।
খৈল ও ধানের তুষ ব্যবহার করা যেতে পারে। অতিরিক্ত ব্যয় না করার জন্য সতর্ক থাকুন।
বন্যার ঘনত্ব কম হলে, একই এলাকার জেলেরা সামাজিকভাবে (সম্ভবত ২০-৩০জন বা তার বেশি/কম) জাল দিয়ে ঘেরা ঘের তৈরি করে একসাথে কাজ করতে পারে এবং তারপরে খাবারের সাথে নীচের অংশে মাছ ধরতে পারে।
যেসব পুকুরে বেশি ভাসমান জল নেই, কিন্তু নোংরা জল প্রবেশ করে ঘোলা হয়ে গেছে সেসব পুকুরে ২৫০-৩০০ গ্রাম চুন দেওয়া যেতে পারে। খড়ও ব্যবহার করা যেতে পারে।
বেশ কয়েকদিন ধরে প্রবল বর্ষণ/একটানা বৃষ্টি হলেও এলাকাটি বন্যার জলে পুরোপুরি নিমজ্জিত হয়নি। অক্সি গোল্ড/অক্সি ফ্লো/দ্রুত অক্সিজেন ২০০-৫০০ গ্রাম/একর/৩-৬ ফুট গভীরতায় খাদ্য অবস্থায় দেওয়া যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment