উঠতে-বসতে প্লাস্টিকের বোতলে জল পান করছেন? জানেন কোন বিপদ ডেকে আনছেন?
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৪ জুন: বর্তমান সময়ে বোতলজাত জল আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে, বাড়ি থেকে অফিস বা ভ্রমণের সময়েও আমাদের ভরসা বোতলজাত জল। আমরা কোনও চিন্তা ছাড়াই এটি ব্যবহার করছি। আপনিও যদি এটা করেন তাহলে এর মানে আপনি আপনার শরীর 'বিষ' দিয়ে পূর্ণ করছেন।
প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস নামের একটি ইনস্টিটিউট এক গবেষণায় যা তথ্য প্রকাশ করেছে, তা রীতিমতো ভয় ধরানো। এতে বলা হয়েছে এক লিটার বোতলজাত জলে প্রায় ২.৪০ লাখ সূক্ষ্ম প্লাস্টিকের টুকরো থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক এবং প্রাণঘাতী সমস্যার ঝুঁকি হতে পারে।
সাম্প্রতিক গবেষণায়, গবেষকরা প্লাস্টিকের বোতলে থাকা মাত্র এক লিটার জলে ১,০০০০০-এর বেশি ন্যানোপ্লাস্টিক খুঁজে পেয়েছেন। এগুলি এমন ছোট কণা, যা রক্ত সঞ্চালন, কোষ এবং মস্তিষ্কে পৌঁছতে পারে এবং অনেক বিপদ বাড়িয়ে দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
প্লাস্টিকের বোতলে জল কেন বিপজ্জনক?
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্লাস্টিকের বোতলের জলে বিসফেনল-এ (বিপিএ) এবং থ্যালেটসের মতো রাসায়নিক পদার্থ দ্রবীভূত হয়। বোতলজাত জল সূর্যের আলো বা তাপের সংস্পর্শে এলে এই রাসায়নিকগুলো জলে দ্রবীভূত হয়ে শরীরের অভ্যন্তরে পৌঁছে ক্ষতি করে। এছাড়া কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন ও ক্লোরাইড দিয়ে প্লাস্টিক তৈরি হয়, যা বিপিএ প্লাস্টিকের জলের বোতল তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
প্লাস্টিকের বোতলে জল পানের বিপদ কী?
১. ডায়াবেটিস এবং হার্টের ঝুঁকি
হার্ভার্ড স্কুল অফ পাবলিক হেলথের গবেষণা অনুসারে, পলিকার্বোনেটের বোতলের জলে বিসফেনল এ রাসায়নিক থাকে, যা শরীরে প্রবেশ করলে হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
২. প্রজনন ক্ষমতা প্রভাবিত
প্লাস্টিকের বোতলে জদ পান করা প্রজনন ক্ষমতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে কারণ এতে উপস্থিত বিপিএ এবং থ্যালেটসের মত রাসায়নিক রয়েছে। এই জল পান করলেও হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। এ কারণে বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
৩. ক্যান্সারের ঝুঁকি
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্লাস্টিকের বোতলে জল পান করলে অনেক ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এর ফলে স্তন ও মস্তিষ্কের ক্যান্সার হতে পারে। প্লাস্টিকের পলিথিনে রাখা গরম খাবার খাওয়া বা পান করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। এই জল পান করলে লিউকেমিয়া এবং লিম্ফোমার মতো রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
No comments:
Post a Comment