H5N2 ভাইরাস থেকে কিভাবে রক্ষা করবেন নিজেকে
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৩ জুন: এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা,যা"বার্ড ফ্লু"নামেও পরিচিত,একটি ভাইরাল সংক্রমণ যা সাধারণত পাখিদের মধ্যে ছড়ায়।কিন্তু এটি মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।সম্প্রতি প্রথম মৃত্যুর খবর এসেছে,যা সবাইকে উদ্বিগ্ন করেছে।বলা হচ্ছে সম্প্রতি আমেরিকার মেক্সিকোতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।আসুন জেনে নেই কিভাবে আমরা এই ভাইরাস থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারি এবং এর লক্ষণ ও চিকিৎসা কী কী।
H5N2 এর কারণে মৃত্যু নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক -
এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা"বার্ড ফ্লু"শ্বাসকষ্টের গুরুতর উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে।যারা পোল্ট্রি,জলপাখি(যেমন- গিজ এবং হাঁস)এবং গবাদি পশুর সাথে কাজ করেন তাদের সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।বার্ড ফ্লু-র নতুন স্ট্রেন H5N2 ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে যদি এর জন্য কোনও গুরুতর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়।আসুন জেনে নেই কীভাবে এই এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা‘বার্ড ফ্লু’হয় এবং এর প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য কী কী ব্যবস্থা রয়েছে।
H5N2 প্রতিরোধ,লক্ষণ এবং চিকিৎসা -
এখনও পর্যন্ত,মানুষের মধ্যে বার্ড ফ্লু সংক্রমণ অত্যন্ত বিরল ছিল।যেহেতু এটি ১৯৯৭ সালে মানুষের মধ্যে প্রথম শনাক্ত হয়েছিল,তাই বিশ্বব্যাপী ১,০০০ টিরও কম পরিচিত ঘটনা ঘটেছে।আমেরিকায় মাত্র দুটি ক্ষেত্রে রিপোর্ট করা হয়েছে।কিন্তু তাদের সবগুলিই দুই ধরনের: ইনফ্লুয়েঞ্জা A (H5N1) এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা A (H7N9)।এই H5N2 হল বার্ড ফ্লু-র একটি নতুন স্ট্রেন৷যার কারণে একজনের মৃত্যু হতবাক করেছে সবাইকে।আমরা যদি বার্ড ফ্লু-র উপসর্গ সম্পর্কে কথা বলি,এগুলো যে কোনও সাধারণ ফ্লু-র মত।আসুন লক্ষণগুলি দেখে নেওয়া যাক।
জ্বর।
ক্লান্তি।
কাশি।
পেশী ব্যথা।
গলা ব্যথা।
বমি-বমি ভাব এবং বমি।
ডায়রিয়া।
সর্দি বা বন্ধ নাক।
শ্বাসকষ্ট।
গোলাপী চোখ(কনজেক্টিভাইটিস)।
এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা "বার্ড ফ্লু" H5N2 হল একটি ভাইরাস যা আমাদের উপরের শ্বাসতন্ত্র এবং ফুসফুসকে সংক্রমিত করতে পারে এবং এমনকি শরীরের অন্যান্য অংশে,যেমন- মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
মানুষের মধ্যে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা "বার্ড ফ্লু"-র খুব কম ঘটনা ঘটেছে।তবে এটি সংক্রামিত প্রাণীর শরীরের তরল,যেমন- থুতু(লালা),শ্বাসের ফোঁটা বা মল-এর সংস্পর্শে আসে।আপনি প্রাণীর আবাসস্থলের ক্ষুদ্র ধূলিকণা থেকে এটির শ্বাস নিতে পারেন বা শরীরের তরল স্পর্শ করার পরে আপনার চোখ,নাক বা মুখে এটি পেতে পারেন।
ঠিকমতো রান্না করা মুরগি বা ডিম খেলে বার্ড ফ্লু হয় না। সাধারণত এভিয়ান ফ্লু ভাইরাসে আক্রান্ত কোনও মুরগি বা পোল্ট্রিকে অবিলম্বে মানুষের খাদ্য সরবরাহ থেকে বের করে দেওয়া হয়।
সময়মতো ধরা পড়লে আপনি অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ দিয়ে বার্ড ফ্লু-র চিকিৎসা করতে পারেন।আপনার ডাক্তার আপনাকে কিছু মুখ্য ওষুধ লিখে দিতে পারেন,যেমন– ওসেলটামিভির (টামিফ্লু),পেরামিভির (রাপিভাব) বা জানামিভির (রেলেনজা) ইত্যাদি।তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এসব ওষুধ কখনই খাবেন না।
No comments:
Post a Comment