মোদীর শপথ গ্ৰহণের আগে চীনের অভিনন্দন বার্তা, শান্তির পাঠ পড়াল ভারত
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৯ জুন: মোদী ৩.০ আজ থেকে শুরু হতে চলেছে। তৃতীয়বারের মতো দেশের শাসনভার নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার সঙ্গে ৬০ জন নতুন মন্ত্রীও শপথ নেবেন বলে সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভারতে পৌঁছেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর তৃতীয় মেয়াদে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছে চীনও। জবাবে, ভারত ড্রাগনকে এলএসি-তে উত্তেজনা এবং সহিংস ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিয়ে শান্তির পাঠ পড়িয়েছে। ভারত বলেছে যে, 'আমাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা, পারস্পরিক স্বার্থ এবং পারস্পরিক অনুভূতির ভিত্তিতে দুই দেশকে স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিৎ।'
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের এই মন্তব্য পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) সীমান্ত বিরোধের কারণে ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্কের স্থবিরতার পটভূমিতে এসেছে। জয়সওয়াল 'এক্স'-এ প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্য চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রকের পোস্ট করা অভিনন্দন বার্তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি 'এক্স'-এ বলেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তাঁর নির্বাচনী বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানানোর জন্য চীনের বিদেশ মন্ত্রককে ধন্যবাদ। আমরা পারস্পরিক সম্মান, পারস্পরিক স্বার্থ এবং পারস্পরিক অনুভূতির ভিত্তিতে ভারত-চীন সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।"
ভারত ধারাবাহিকভাবে বলে আসছে যে, দুই দেশের সমগ্ৰ সম্পর্ক স্বাভাবিক বানানোর জন্য এলএসিতে শান্তি ও স্থিরতা গুরুত্বপূর্ণ। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র ৫ জুন বলেছিলেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটকে তাদের নির্বাচনে জয়ের জন্য অভিনন্দন। আমরা সুস্থ ও স্থিতিশীল চীন-ভারত সম্পর্কের আশা করি।"
বিশ্বের সমস্ত দেশের প্রধানদের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে তাঁর জয়ের জন্য অভিনন্দন বার্তা এসেছে। তবে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পক্ষ থেকে এখনও কোনও অভিনন্দন বার্তা আসেনি। প্রসঙ্গত, ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীর মধ্যে ২০২২ সালের মে থেকে স্থবিরতা চলছে এবং সীমান্ত বিরোধ এখনও পুরোপুরি সমাধান হয়নি। তবে উভয় পক্ষই বেশ কয়েকটি বিতর্কিত সীমান্ত পয়েন্ট থেকে পিছু হটেছে।
No comments:
Post a Comment