আজীবন কোনও নারীকেই দেখেননি এই সন্ন্যাসী
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ০১ জুন:
মিহাইলো টোলোটো জীবনে কখনও কোনো নারীকে দেখেননি। অনেকেই এ কথায় অবাক হয়েছেন বটে। কিন্তু পৃথিবীতে থেকেও কখনও কোনও নারীর স্পর্শ তো দূরের কথা চোখের দেখাও দেখেননি তিনি। এমনকি অনেকেই দাবি করেন, মিহাইলো ছিলেন বিশ্বের একমাত্র ব্যক্তি যিনি জীবদ্দশায় কোনও নারীকে স্পর্শ করেননি, দেখেননি এবং কথাও বলেননি।
মিহাইলে টোলোটো ছিলেন একজন গ্রীক সন্ন্যাসী। যিনি তার পুরো ৮২ বছরের জীবন কাটিয়েছিলেন অ্যাথোস পর্বতে। মিহাইলোর জন্ম ১৮৫৬ সালে গ্রিসে।জন্মের মাত্র ৪ ঘন্টা পরই তার মা মারা যায়। মিহাইলোর বাবার মৃত্যু হয় তার জন্মের আগেই। তাই তাকে লালন-পালন করার মতো কেউই ছিল না। এজন্য এলাকার মানুষ তাকে অর্থোডক্স সন্ন্যাসীদের কেন্দ্র মাউন্ট অ্যাথোসে অবস্থিত একটি মঠের সিঁড়িতে ফেলে রেখে আসে।
সেখানকার সন্ন্যাসীরা ছোট্ট মিহাইলোকে তাদের সঙ্গে নিয়ে যান। মঠটিই হয়ে ওঠে মিহাইলোর স্থায়ী ঠিকানা।এই মঠ থেকে তিনি কখনও কোথাও যাননি। এই মঠের বাইরে যে এত বড় পৃথিবী আছে তার কিছুই দেখেননি তিনি। উঁচু দেওয়াল ঘেরা মঠের মধ্যে তার বেড়ে ওঠা। সেখানেই সন্ন্যাস জীবনের শিক্ষায় শিক্ষিত হন। হয়ে ওঠেন একজন সন্ন্যাসী।
মিহাইলো ১৯৩৮ সালে মারা যান। তবে কখনও নারীর সংস্পর্শে আসেননি তিনি। এর অন্যতম কারণ হল মিহাইলো কখনো মঠ থেকে বাইরে যাননি এবং এই পর্বতে নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। তাই মিয়াহিলো টোলোটো কোনও নারীকে কখনও চোখের দেখা দেখেননি।
মিহাইলোর মৃত্যুর পর, তাঁর সহযাত্রী সন্ন্যাসীরা তাঁর জন্য একটি বিশেষ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজন করেছিলেন।তারা বিশ্বাস করেন যে তিনিই বিশ্বের একমাত্র পুরুষ যিনি কখনও কোনও নারীর সঙ্গে দেখা, স্পর্শ বা কোনও যোগাযোগ না করেই মারা গেছেন।
No comments:
Post a Comment