জেনে নিন রক্তদানের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলো
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৩ জুন: মানুষের মধ্যে রক্তদানকে উৎসাহিত করার জন্য প্রতি বছর ১৪ জুন বিশ্ব রক্তদান দিবস পালিত হয়।রক্তদান করে আপনি শুধু একটি নয় বহু জীবন বাঁচান,কিন্তু তা করার আগে আপনার কী কী বিষয় মাথায় রাখা উচিৎ আসুন জেনে নেওয়া যাক।
আপনি নিশ্চয়ই অনেকবার শুনেছেন যে রক্তদান মানে জীবন দান করা।অনেক বছর আগে টিভিতে রক্তদান সংক্রান্ত কত বিজ্ঞাপন দেখেছেন।এই সব বিজ্ঞাপনে রক্তদানের কথা ছিল। আমাদের দেশে প্রতি ২ সেকেন্ডে একজনের রক্তের প্রয়োজন হয়।সেটা অস্ত্রোপচারের সময়ই হোক,দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বা কোনও গুরুতর রোগ প্রতিরোধের জন্যই হোক।রক্তদান অনেক কারণেই আজকের সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
রক্তদান করে আপনি শুধু অন্যদের সাহায্য করেন না,এর অনেক উপকারও আছে।যখনই সময় আসে,রক্তের প্রয়োজন হয়,একভাবে এটি আপনার প্রয়োজন পূরণ করে।কেউ কেউ মনে করেন রক্ত দিলে শরীরে দুর্বলতা আসে, কিন্তু তা মোটেও নয়।কারণ রক্ত দেওয়ার মাত্র ২১ দিন পরেই রক্ত পুনরায় তৈরি হয়।কিন্তু আপনি কি কখনও রক্ত দিয়েছেন?যদি হ্যাঁ,তাহলে আপনি এর উপকারিতা খুব ভালো করেই বুঝতে পারবেন।আপনি যদি নিয়মিত রক্তদান করেন বা রক্তদানের কথা ভাবছেন,তাহলে তা করার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখুন।
জেনে নিন এই ১০টি শর্ত -
রক্তদানকারী ব্যক্তির বয়স ১৮ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ১২.৫ গ্রাম প্রতি ডেসিলিটার বা তার বেশি হওয়া উচিৎ।
কোনও গুরুতর অসুস্থতা থাকা উচিৎ নয়।
রক্তদানের সময় কোনও ধরনের সংক্রমণ,যেমন- সর্দি,ফ্লু ইত্যাদি থাকা উচিৎ নয়।
দাতার এইচআইভি,হেপাটাইটিস বি বা সি,সিফিলিস, ম্যালেরিয়ার মতো রোগ থাকা উচিৎ নয়।
দাতার যদি ৬ মাসেরও কম সময় আগে কোনও অস্ত্রোপচার করা হয় তবে তার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিৎ।
কিছু ভ্যাকসিন আছে,যার পরে ২-৪ সপ্তাহ রক্তদান করা যাবে না।
পিরিয়ড,গর্ভাবস্থা বা বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মহিলারা রক্ত দিতে পারবেন না।
রক্তদাতা অবশ্যই গত ১২ মাসে অন্য কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে রক্ত নেননি।
ট্যাটু করার পর ৬ মাস রক্ত দেওয়া উচিৎ নয়।
No comments:
Post a Comment