"গরীব হকারদের কাছ থেকে চাঁদা তুলবেন না", পুলিশ-নেতাদের কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিবেদন, ২৭ জুন, কলকাতা : সোমবার নবান্নে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তার পর জেলায় জেলায় পুরোদমে চলছে ফুটপাথ সাফাই অভিযান। রাস্তার পাশের অবৈধ স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলার কাজও চলছে। এদিকে, এই পুরো প্রক্রিয়ায় পুলিশ-প্রশাসন এবং দলীয় নেতা-কাউন্সিলরদের ভূমিকা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাতটি কর্পোরেশনের মেয়র, পৌরসভার চেয়ারম্যান, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ সুপারদের বৈঠকে বসেন।
সেখান থেকে ফের পুলিশ, নেতাদের কড়া বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, "হকার উচ্ছেদ লক্ষ্য নয়। হকারির জায়গায় গোডাউন তৈরি করে ফেলছে। হকার ইউনিয়নগুলোর দেখা উচিৎ। এক একজন হকার চারটি ডালা বসাচ্ছেন। পুলিশ, হকার নেতারা গরীব হকারদের কাছ থেকে চাঁদা তুলবেন না।"
এর পরে মমতা বলেন, 'গড়িয়াহাটে হাঁটার জায়গা নেই। বহিরাগতদের স্থান দেওয়া যাবে না। তিনি যত বড়ই নেতা হোন না কেন কাউকে ছেড়ে কথা বলব না। স্থানীয় কাউন্সিলররাও চোখে দেখে কিছুই দেখছেন না। প্লাস্টিক ব্যবহার না করাই ভালো। এই কাজগুলো করতে কতদিন লাগবে? স্টল নম্বর দিন। গড়িয়াহাটে পায়ে হেঁটে যাওয়া অসম্ভব। বেকার করে দেওয়া, চাকরি খাওয়ার আমার অধিকার নেই।'
মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে আরও বলেন, "হকার জোনের পাশে কোনও বিল্ডিংয়ে অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা রাখা হোক। প্রথমে বসাবেন, তারপর বুলডোজার দিয়ে তুলবেন, এমন হবে না। যে নেতার জায়গায় এটা হবে, তাকে গ্রেফতার করা হবে। নগরোন্নয়ন সচিব, পুর সচিব জেলায় জেলায় ঘুরে হকার জোন ঠিক করবেন।বিপজ্জনক বাড়ি সংস্কার না হলে, অধিগ্রহণ করে নিতে হবে। বিপজ্জনক বাড়ি কেনার জন্য একটা তহবিল গড়ার কথা ভাবা হবে"
No comments:
Post a Comment