কোচবিহারে মহিলা বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা নিয়ে তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ অধীরের
নিজস্ব প্রতিবেদন, ৩০ জুন, কোচবিহার : কোচবিহারে এক মহিলাকে নির্বস্ত্র করে মারধরের অভিযোগে বিপাকে মমতা সরকার। এ নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড়। জাতীয় মহিলা কমিশন এর নিন্দা জানিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে, কোচবিহারের এই ঘটনায় মমতা সরকারকে নিশানা করেছেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
তিনি বলেন, "জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে নারীদের ওপর হামলা অগ্রহণযোগ্য। নির্বাচন হয়েছে, ফলাফল ঘোষণা হয়েছে এবং শাসক দল রাজ্যে সর্বাধিক আসন জিতেছে, তাহলে সরকার কেন রাজ্যে সহিংসতার আশ্রয় নিচ্ছে? নির্বাচনের পর বাংলায় এমন ঘটনা দেশের কোথাও আমরা দেখছি না? কোনও মহিলার ওপর অত্যাচার করার অধিকার কারও নেই।"
এর আগে রাজ্যের সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছিল এবং বিজেপি এই নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছিল। একই সঙ্গে প্রকাশ্যে এক ছেলে ও মেয়েকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়।
নির্যাতিতা মহিলা বলেছেন যে তিনি বিজেপিকে সমর্থন করেন। তাই তৃণমূলের কর্মীরা তার ওপর হামলা চালায়। শুক্রবার তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। ওই মহিলাকে আশ্রয় দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। তিনি ভয়ে বাড়ি যেতে পারছেন না এবং এখন এই নিয়ে মমতা সরকারকে নিশানা করেছেন কংগ্রেস নেতা।
অপরদিকে, রবিবার সকালে পুলিশ নির্যাতিতার জবানবন্দি রেকর্ড করে। এতদিন পরেও পুলিশ নির্যাতিতার বক্তব্য নেয়নি বলে অভিযোগ। শনিবার নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেতা অগ্নিমিত্রা পাল। রবিবার সকালে নির্যাতিতা তার বক্তব্য রেকর্ড করতে থানায় পৌঁছান। কোতোয়ালি মহিলা থানায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। বিজেপির প্রতিনিধি দল গিয়ে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কেন এখনও পর্যন্ত বিবৃতি রেকর্ড করা হয়নি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, পারিবারিক কারণে ওই নারীর সঙ্গে সমস্যা হয়েছে। FIR নথিভুক্ত হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে, ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এফআইআর-এ বাকি ৩ জনের খোঁজ চলছে। পুলিশ প্রধান বলেন, "ডাক্তারি পরীক্ষার পরই নির্যাতিতার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। তবে এর পেছনে কোনও রাজনৈতিক বা সাম্প্রদায়িক কারণ নেই। কিন্তু তা ছড়িয়ে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।"
No comments:
Post a Comment