কৃষকদের প্রাপ্য টাকা নাবালকদের অ্যাকাউন্টে! একে অপরকে দুষছে তৃণমূল-বিজেপি
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ২১ জুন: কৃষক বন্ধুর টাকা নিয়ে বড়-সড় দুর্নীতি এবং জালিয়াতি, দালাল চক্রের পর্দাফাঁস, কৃষকদের টাকা ঢুকছে নাবালকদের অ্যাকাউন্টে, বাংলার কৃষকদের টাকা যাচ্ছে বিহারের অ্যাকাউন্টেও। দুর্নীতি নিয়ে অবগত নয় প্রশাসন, প্রশাসনে বিজেপির লোক বেশি আজব যুক্তি তৃণমূলের, পাল্টা আক্রমণ বিজেপির।
কৃষক বন্ধুর টাকা নিয়ে বড়-সড় দুর্নীতির অভিযোগ। নিজেদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত কৃষকরা। কৃষকদের নামে আইডি অ্যাকটিভ হলেও সেই টাকা ঢুকছে অন্য অ্যাকাউন্টে। এমনকি নাবালকদের অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সেখানে ঢোকানো হচ্ছে টাকা। দুর্নীতির পেছনে সক্রিয় দালাল চক্র। কিন্তু কোনও খবর নেই প্রশাসনের কাছে। আর দুর্নীতির বিষয় সামনে আসতেই আজব যুক্তি তৃণমূলের। তৃণমূলের দাবী, প্রশাসনে বিজেপির লোকেরাই বসে আছে। সম্পূর্ণ দুর্নীতিই হচ্ছে তৃণমূলের মদতে অভিযোগ বিজেপির। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতোর।
আবার দুর্নীতি স্থল সেই মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর।যেখানে বন্যা ত্রাণ থেকে শুরু করে বারবার বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের টাকা দালাল চক্রের মাধ্যমে ভুয়ো অ্যাকাউন্টে গেছে। এবার সেখানেই হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের তেলজান্না সুইস গেট এলাকার প্রায় শতাধিক কৃষক, কৃষক বন্ধুর টাকা থেকে বঞ্চিত। নির্দিষ্ট জমির ভিত্তিতে সেই কৃষকদের আইডি হয়েছে। কিন্তু কৃষক বন্ধুর টাকা ঢোকেনি তাদের অ্যাকাউন্টে।
স্থানীয় সিএসপিতে গিয়ে তারা জানতে পারেন তাদের টাকা ঢুকছে নাবালকদের অ্যাকাউন্টে। একজনের কাছেই থাকছে ১০০ থেকে ১৫০ টি অ্যাকাউন্ট। তার মাধ্যমেই চলছে দুর্নীতি। একই পরিবারের ৫ থেকে ৬ জন নাবালোকের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাচ্ছে টাকা। বিহারের অ্যাকাউন্টেও টাকা যাচ্ছে বাংলার কৃষকদের। কিন্তু প্রশ্ন কীভাবে সম্ভব হচ্ছে এই ধরনের জালিয়াতি? তবে কী দালালদের সঙ্গে যুক্ত থাকছে প্রশাসনের একাংশ? এত বড় জালিয়াতি হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে টের পাচ্ছে না প্রশাসন?
প্রশাসনিক আধিকারিকদের বক্তব্য, 'কৃষকরা তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ এলেই প্রশাসন তদন্ত করবে।' আবার তৃণমূলের দাবী, 'ব্যালট ভোটের বেশির ভাগটাই পাচ্ছে বিজেপি। অর্থাৎ প্রশাসনে বিজেপির বেশি লোক বসে রয়েছে। তাদের মদতেই এটা হচ্ছে।' বিজেপির অভিযোগ, 'তৃণমূলের এই কাটমানি সংস্কৃতি নতুন নয়। খোদ মুখ্যমন্ত্রী এই কথা বলেছেন। এভাবে ব্লক জেলা থেকে রাজ্য পর্যন্ত টাকা আত্মসাৎ করছে তৃণমূল নেতারা।'
No comments:
Post a Comment