স্বাদ নিয়ে দেখুন রাজস্থানের বিখ্যাত খাবার পেঁয়াজ-কচুরির
সুমিতা সান্যাল,২৫ জুন: আপনি যদি রাজস্থানে গিয়ে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই সেখানকার বিখ্যাত পেঁয়াজ-কচুরির স্বাদ নিয়েছেন।পেঁয়াজ- কচুরি একটি সুস্বাদু খাবার যা রাজস্থানী খাবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়।এটি যে কারও মুখে জল এনে দেবে।আপনি এটি বাড়িতেও তৈরি করতে পারেন।চলুন আপনাদের বলি পেঁয়াজ-কচুরি তৈরির রেসিপি ও প্রয়োজনীয় উপাদান সম্পর্কে।
উপাদান -
ময়দা ২ কাপ,
ঘি ১\৪ কাপ,
জল প্রয়োজনমতো,ময়দা মাখার জন্য,
পেঁয়াজ,২ টি বড় আকারের,কুচি করে কাটা,
মৌরি ১ চা চামচ,
নাইজেলা বীজ ১\২ চা চামচ,
ধনে গুঁড়ো ১ চা চামচ,
জিরা গুঁড়ো ১\২ চা চামচ,
লাল লংকার গুঁড়ো ১ চা চামচ,
গরম মশলা গুঁড়ো ১\২ চা চামচ,
শুকনো আমের গুঁড়ো ১ চা চামচ,
কাঁচা লংকা ২ টি,কুচি করে কাটা,
আদা ১ ইঞ্চি টুকরো,কুচি করে কাটা,
ধনেপাতা কুচি ২ চা চামচ,
লবণ স্বাদ অনুযায়ী,
তেল প্রয়োজন মতো।
তৈরির পদ্ধতি -
একটি বড় পাত্রে ময়দা দিয়ে তারপর তাতে লবণ ও ঘি দিয়ে ভালো করে মেশান।এবার অল্প অল্প করে জল দিন এবং একটি শক্ত ময়দা মেখে নিন।এবার ময়দা ঢেকে ২০ মিনিটের জন্য আলাদা করে রাখুন।
একটি প্যানে ২ টেবিল চামচ তেল গরম করার পর মৌরি ও নাইজেলার বীজ দিন।এগুলো ফোটা শুরু করলে কাঁচা লংকা ও আদা যোগ করুন।এরপরে পেঁয়াজ যোগ করুন এবং সোনালি-বাদামী হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।তারপর ধনে গুঁড়ো,জিরা গুঁড়ো,লাল লংকার গুঁড়ো,গরম মশলা গুঁড়ো, শুকনো আমের গুঁড়ো ও লবণ দিন এবং ভালো করে মেশান।এবার ধনেপাতা যোগ করুন,ভালোভাবে মেশান এবং গ্যাস বন্ধ করে ফিলিংটি ঠান্ডা হতে দিন।
মেখে রাখা ময়দার ছোট ছোট বল তৈরি করুন এবং তারপর একটি বল নিয়ে ছোট পুরির মতো করে বেলে নিন।এতে ১ চামচ ফিলিং রেখে পুরি চারদিক থেকে বন্ধ করে দিন।এবার আলতো করে বেলে নিয়ে কচুরির আকার দিন।
একটি প্যানে তেল গরম করার পর একে একে কচুরি দিন এবং সোনালি-বাদামী হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।শোষক কাগজে ভাজা কচুরি তুলে নিন যাতে অতিরিক্ত তেল উঠে যায়।গরম গরম পেঁয়াজ-কচুরি তেঁতুলের চাটনি বা সবুজ চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করুন।
No comments:
Post a Comment