ভোটের পর ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি! জারি ১৪৪ ধারা, মুখ্যমন্ত্রী মমতার হস্তক্ষেপ দাবী রাজ্যপালের
ভোটের ২৪ ঘন্টা পর ফের সহিংসতা শুরু হয়েছে সন্দেশখালিতে। সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত হাতাহাতির খবর পাওয়া গেছে। হামলা, ভাংচুর ও অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগে ইতোমধ্যে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে শান্তির বার্তা দিচ্ছে প্রশাসন। সন্দেশখালির চারটি পঞ্চায়েতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন সন্দেশখালি সহিংসতার বিষয়ে তাঁর হস্তক্ষেপের দাবীতে।
সন্দেশখালির সরবেড়িয়া গ্রামে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাতভর হিংসার অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামে পাহারা দিচ্ছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। নিরাপত্তার দাবীতে একটি প্রতিনিধি দলও পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এদিকে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় নারীদের সংঘর্ষ হয়েছে।
সন্দেশখালির আগরঘাটির মন্ডলপাড়া এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভোটের দিন এই গ্রামে পুলিশের সঙ্গে জনতার সংঘর্ষ হয়। রবিবার সকালে পুলিশ গ্রামে প্রবেশ করলে লোকজন হট্টগোল শুরু করে। একজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এরপর গ্রামের মহিলারা পুলিশের হাত থেকে অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশের গাড়ির সামনে শুয়ে বিক্ষোভ করেন বাসিন্দারা। এরপর পুলিশ গ্রামে ঢুকতে শুরু করে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের দেখে পুকুরে ঝাঁপ দেন মহিলারা।
এদিকে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছেন যে সন্দেশখালিতে ভোট-পরবর্তী সহিংসতার রিপোর্ট পাওয়ার পর তিনি উদ্বিগ্ন এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করতে এবং সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে বলেছেন।
রাজ্যপাল বলেছেন যে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি লিখেছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সন্দেশখালিতে সহিংসতার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানাতে। যদি এই ধরনের হামলা চলতে থাকে এবং বাসিন্দাদের হয়রানি করা হয়, আমি রাজভবনের দরজা খুলে দেব তাদের জন্য এখানে এসে বসবাস করতে। তাদের এখানে নিরাপদ আশ্রয় দেওয়া হবে।
No comments:
Post a Comment