নতুন করে দাঁত গজানোর স্বপ্ন দেখাচ্ছেন বৈজ্ঞানিকেরা
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৩ জুন: দাঁতের ক্ষতি বা ভাঙা একটি সাধারণ সমস্যা,যার মোকাবিলায় আমরা প্রায়শই ডেনচার বা ইমপ্লান্টের আশ্রয় নেই।কিন্তু যদি জানেন যে দাঁতের ক্ষতি ভবিষ্যতে স্থায়ী সমস্যা হবে না?জাপান থেকে আসা খবর অনুযায়ী,শীঘ্রই আবার দাঁত গজানোর স্বপ্ন পূরণ হতে পারে।Toregem Biopharma, কিয়োটো ইউনিভার্সিটির সাথে যুক্ত একটি বায়োটেক স্টার্টআপ এবং বিজ্ঞানীদের একটি দল দাঁত পুনরায় গজানোর প্রযুক্তির উন্নয়নে নিযুক্ত রয়েছে।আসুন এই উত্তেজনাপূর্ণ আবিষ্কার সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।
দাঁত পুনরুত্থানের নীতি টোরাজেম বায়োফার্মা দ্বারা তৈরি একটি অ্যান্টিবডি ওষুধের চারপাশে ঘোরে।এই ওষুধটি ইটারিন সেন্সিটাইজেশন-অ্যাসোসিয়েটেড জিন-১ (ইউএসএজি-১) নামক একটি নির্দিষ্ট প্রোটিনকে লক্ষ্য করে,যা সাধারণত দাঁতের বিকাশ বন্ধ করে দেয়।এই প্রোটিন বাদ দিয়ে,এই ওষুধটি মূলত দাঁত গঠনের প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে,যাতে নতুন দাঁত স্বাভাবিকভাবে গজাতে পারে।
কিতানো হাসপাতালের ডেন্টাল কেয়ার অ্যান্ড ওরাল সার্জারি বিভাগের প্রধান ডাঃ কাতসু তাকাহাশি এই গবেষণার প্রধান বিজ্ঞানী।তাদের গবেষণায় দেখা গেছে যে USAG-1 প্রোটিনকে বাধা দিলে নতুন দাঁতের শিকড় তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রক্রিয়াটি সফলভাবে ইঁদুর এবং ফেরেটের মতো প্রাণীদের উপর পরীক্ষা করা হয়েছে, যেখানে চিকিৎসা করা প্রাণীরা কোনও গুরুতর ক্ষতি ছাড়াই নতুন দাঁত গজায়।
পরীক্ষার পর কী হবে?
ল্যাব থেকে রোগীদের চিকিৎসা করানো একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া, কিন্তু টোরাজেম বায়োফার্মা ভালো উন্নতি করছে।কোম্পানি সেপ্টেম্বরে প্রথম ধাপের ক্লিনিকাল পরীক্ষা শুরু করতে যাচ্ছে, যা হবে মানুষের উপর এই চিকিৎসার প্রথম পরীক্ষা।প্রাথমিক পরীক্ষায় ৩০ জন সুস্থ পুরুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে যাদের অন্তত একটি মোলার দাঁত অনুপস্থিত।এই পরীক্ষার প্রাথমিক লক্ষ্য মানুষের মধ্যে ওষুধের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
পরীক্ষা সফল হওয়ার পর কী হবে?
এই পরীক্ষাগুলি সফল হলে,পরবর্তী পর্যায়ে ২ থেকে ৭ বছর বয়সী শিশুদের উপর ফোকাস করা হবে যারা জন্মগত অ্যানোডোনটিয়াতে ভুগছে।এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে কিছু বা সমস্ত দাঁত জন্ম থেকেই অনুপস্থিত।জনসংখ্যার প্রায় ০.১% এই অবস্থা দ্বারা প্রভাবিত হয় এবং বর্তমান চিকিৎসাগুলি দাঁতের বা ইমপ্লান্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ।আশা করা যায় যে এই ওষুধটি আরও প্রাকৃতিক এবং স্থায়ী সমাধান দিতে পারবে।
No comments:
Post a Comment