কাজের জন্য পাকিস্তানে যাওয়া ব্যক্তিকে শত্রু বলা যাবে না: হাইকোর্ট
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৬ জুন: কোনও ব্যক্তি যদি শুধুমাত্র কাজের সন্ধানে পাকিস্তানে যান তবে ভারতের প্রতিরক্ষা বিধি অনুসারে তাকে 'শত্রু' ঘোষণা করা যাবে না। এমনই বলেছে কেরালা হাইকোর্ট। আদালতে জমি সংক্রান্ত একটি আবেদনের শুনানি চলছিল, যা তাঁর বাবার সম্পত্তি ছিল, যিনি কিছুদিন পাকিস্তানে ছিলেন। আদালত সম্পত্তির বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থা খারিজ করে দেয় এবং সম্পত্তি কর আদায়ের জন্য রাজস্ব বিভাগকে নির্দেশ দেন।
মালাপ্পুরমের ওমর কোয়া কেরালা পুলিশ থেকে অবসর নিয়েছেন। তাঁর পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। তিনি বলেন যে, এনিমি প্রপার্টি অ্যাক্ট ১৯৬৮- এর বিধানে তার পিতার সম্পত্তি অধিগ্রহণ করা যাবে না। কোয়া জানান, তাঁর বাবা কুঞ্জি কোয়া ১৯৫৩ সালে কর্মসংস্থানের সন্ধানে পাকিস্তানের করাচিতে গিয়ে কিছুদিন হোটেলে হেলপার হিসেবে কাজ করেন। পরে তিনি ভারতে ফিরে আসেন এবং ১৯৯৫ সালে মারা যান।
যখন আবেদনকারী সম্পত্তি কর দিতে যান, তখন আধিকারিকরা বলেন যে, তহসিলদার তাঁকে কাস্টডিয়ান অফ এনিমি প্রপার্টি অ্যাক্ট অফ ইন্ডিয়া (সিইপিআই) এর ভিত্তিতে কর আদায় না করতে বলা হয়। আবেদনকারীর পিতার ওপর এনিমি প্রপার্টি অ্যাক্ট ১৯৬৮ এর ধারা ২(বি) এর অধীনে শত্রু বলে সন্দেহ করা হয়েছিল। এর পরে, আবেদনকারীর প্রাপ্ত সম্পত্তির অংশটিও 'শত্রু সম্পত্তি' বলে সন্দেহের মুখে পড়ে।
কোয়া পরে বলেছিলেন যে, ক্রমাগত উৎপীড়নের পরে তিনি ভারতীয় নাগরিক হিসাবে তাঁর মর্যাদা নির্ধারণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে গিয়েছিলেন। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুসারে, এটি নির্ধারিত হয়েছিল যে, তাঁর বাবা স্বেচ্ছায় পাকিস্তানি নাগরিকত্ব অর্জন করেননি এবং ভারতীয় নাগরিক ছিলেন। সর্বশেষ শুনানির সময়, বিচারপতি ভিজু আব্রাহামের বেঞ্চ বলেছে যে ওমরের বাবাকে ভারত প্রতিরক্ষা আইন ১৯৬২ এবং ১৯৭১ উভয়ের অধীনে 'শত্রু' বলা যাবে না।
বেঞ্চ এই বিষয়েও জোর দেয় যে, সিইপিআই (CEPI)-এর কাছে 'শত্রু'র সাথে ব্যবসা করার অভিযোগ নিয়েও কোনও প্রমাণ নেই। কোনও 'শত্রু কোম্পানি'র সঙ্গে কোনও ব্যবসায় জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ নেই।
No comments:
Post a Comment