সৌন্দর্য বাড়াতে এই উপজাতির নারীরা ঠোঁট কেটে মাটির চাকতি বসান
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ০১ জুন:
পূর্ব আফ্রিকার ইথিওপিয়ায় বসবাস করে মুরসি উপজাতিরা। দক্ষিণ ইথিওপিয়া এবং সুদানের সীমান্তে অবস্থিত ওমান উপত্যকাই হয়ে উঠেছে এদের বাসস্থান।বর্তমানে মুরসি উপজাতির মানুষের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। তবে আফ্রিকার বিভিন্ন উপজাতিদের মতোই এদের রয়েছে আলাদা পরিচয়।
আফ্রিকার একেক উপজাতি তাদের একেক সংস্কৃতি এবং রীতির জন্য পরিচিত বিশ্বে। মুরসি উপজাতিরা দেখতে অন্যান্য উপজাতিদের মতো হলেও তারা বিশেষ বেশ কিছু কারণে। এখনো প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী সাজপোশাক এবং রীতিনীতি ধরে রয়েছে তারা। বিশেষ করে এদের নারীদের বিশেষ সৌন্দর্য বর্ধক গয়না। যা তারা পরেন ঠোঁটে। এটি অনেকটা এখানকার পিয়াসিং বা ট্যাটু করার মতো।
ঠোঁট কেটে বেশ বড় মাটি কিংবা কাঠের পাত বা চাকতি ঢুকিয়ে রাখেন মুরসি নারীরা।নিচের ঠোঁট কেটর সেখানে মাটির তৈরি এই চাকতি বসিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি ধীরে ধীরে কাটা অংশটি যেমন বাড়তে থাকে,তেমনই চাকতির আকারও বাড়িয়ে তোলা হয়। আর এই চাকতির আকারের উপরেই অনেক সময় নারীদের সামাজিক মর্যাদাও নির্ভর করে।
মুসরি মেয়েরা ১৫ অথবা ১৬ বছরে পা রাখার পরে তাদের নিচের ঠোঁট কেটে দেওয়া হয়। মোটামুটি ৪ সেন্টিমিটার ব্যাসের একটা গর্ত তৈরি করে সেখানে কাঠের ব্লক গুঁজে দেওয়া হয়। যতদিন ক্ষতস্থানের ঘা না শুকিয়ে যায়,ততদিনে এই কাঠের টুকরোটি বের করা হয় না। ঘা শুকিয়ে গেলে সেই টুকরো বের করে নিয়ে কাঠ বা মাটির তৈরি অন্য চাকতি বসিয়ে দেওয়া হয়।
তবে ঠোঁটটা কতটা ঝোলানো হবে,সেটা নির্ভর করে মেয়েটির মতামতের উপর। এই যন্ত্রণাদায়ক প্রক্রিয়া চলতে থাকে বেশ কয়েক মাস ধরে। এইসব চাকতিও আবার নানা রকমের। কারোর চাকতি নিরেট,তার মধ্যেই নানা ধরনের নকশা আঁকা। সাধারণত ১২-১৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত চাকতিই দেখা যায় পরিণত বয়সের নারীদের ঠোঁটে। তবে কেউ কেউ আবার আরও বড় চাকতি পছন্দ করেন। মোটামুটি ২৫সেন্টিমিটার ব্যাসের চাকতিও দেখা যায় অনেক সময়।
আবার শোনা যায় যে,বিবাহিত কিংবা বয়স্ক নারীদের তুলনায় অবিবাহিত এবং কমবয়সী নারীদের মধ্যে এই রীতি মেনে চলার ঝোঁক বেশি থাকে। ঠোঁটের এই পাটগুলো মূলত তারা পরেন বিয়ে,গরুর দুধ দোয়ানোর মতো শুভ অনুষ্ঠানে।
No comments:
Post a Comment