ভালোবেসে ২ ফুটের প্রেমিকাকে বিয়ে! দেখে নিন কে এই দিলদরিয়া প্রেমিক
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৫ জুন: নিজের বউয়ের জন্য পাহাড় কেটে রাস্তা বানিয়ে ছিলেন দশরথ মাঝি। আর এই ছেলেটা একটি দু- ফুটের মেয়েকে বিয়ে করে, তার ভালবাসা কি পাহাড় সমান উচ্চতায় পৌঁছে দিয়ে দেখিয়ে দিলেন ভালোবাসা কাকে বলে! প্রেমিকার উচ্চতা মাত্র দু ফুট, এই দু - ফুটের শরীর আবার বিরল রোগে আক্রান্ত। মেয়েটার নিজে থেকে উঠে দাঁড়ানো ক্ষমতা টুকুও নেই আর সেই মেয়েকে সসম্মানে বিয়ে করলেন তার প্রেমিক। মেয়েটির নাম সাবেল পারভিন। সাবেল অস্ট্রিওজেনেসিস ইমপারফেক্টটা জটিল রোগে আক্রান্ত। এই জটিল রোগে শরীরের হার নিজে থেকেই ভেঙ্গে গুড়িয়ে যায়। এখনো অব্দি হাজার বারেরও বেশি হাড় ভেঙেছে মেয়েটির। কিন্তু এই জটিল রোগে ২৪ বছরের মেয়েটার হাড় ভাঙ্গলেও মনের জোর ভাঙতে পারেনি এক ফোঁটাও। আর তাই যে মেয়েটা নিজে থেকে উঠে বসতে পারেনা খেতে পারে না ও দাঁড়াতে পারে না আজ সেই মেয়েটাই SDM অফিসার হবে বলে পড়াশোনা করছে। আর চায়ের দোকান চালিয়ে বউকে প্রতিষ্ঠিত করবার লড়াই লড়ছে তার স্বামী নাউশাদ আলী। আজ আপনাদের এক ভালবাসার জানানো হোক, কথায় আছে না সমস্ত সফল পুরুষ মানুষের পেছনে একজন নারী হাত থাকে কিন্তু আজকে আপনি এই বিনোদন পড়ে জানতে পারবেন কখনো কখনো একজন সফল নারীর জীবনেও একজন অসাধারণ পুরুষ মানুষ থাকে, যা বোধহয় অনেক ভাগ্য করলে পাওয়া যায়।
আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া খুললে সমাজের এমন ভয়াবহ সব দৃশ্য চোখের সামনে ফুটে ওঠে, যা দেখে ভালোবাসা, সম্পর্ক বা বিবাহ নামে প্রতিষ্ঠানটি উপরে মানুষের বিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। কিন্তু সমাজে এখনো নাউশাদ আলীর মতন পুরুষেরা আছে বলেই ভালোবাসা বেঁচে আছে। বিহারের ভাগলপুর এর মেয়ে সাবেল, আর পাঁচটা বাচ্চার মতোই সুস্থ সবল হবে মায়ের কোলে জন্মেছিল সাবেল কিন্তু জন্মবার ২০ দিন পর থেকেই সাবেলের শরীরটা বদলে যেতে শুরু করে। সাবেলের মা বলেন সাবের খুব পাতলা ত্বক নিয়ে জন্মেছিল। কুড়ি দিন পর ডাক্তাররা জানিয়ে দেয় খুব দুর্বল হার্ট নিয়ে জন্মেছিল সাবেল। সাবেলকে সেই সময় হাই ড্রোসসের ক্যালসিয়াম ওষুধ দিতে শুরু করেন ডাক্তাররা, তাতেও কোনও লাভ হয় না তার। উল্টে সাবেলের শারীরিক অবস্থা আরো অবনতি হতে শুরু করে। এর পরেই সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ডাক্তাররা জানিয়ে দেন সাবের বিরল রোগে আক্রান্ত, কিন্তু বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ওর ব্রেন ডেভেলপ হবে। ছোটবেলা থেকে সাবেল নিজে কিছু করতে পারে না, সাবেলের মা-ই তার ভরসা। মেয়ের চুল আছে দেওয়া থেকে শুরু করে বাথরুমে নিয়ে যাওয়া, এতদিন সপ্তাহে করে গেছেন তিনি। আর এভাবেই মনের জোর রেখে গ্যাজুয়েশন পাশ করেছেন সাবেল।
সাবেল এবং তার পরিবার কোনদিনও ভাবতে পারেনি যে সাবেলের মতন মেয়েও বিয়ে হতে পারে। তাই ইউটিউবে আলাপ হওয়া বন্ধু নাউশাদ যখন সাবেলকে প্রপোজ করেছিল কোন কিছুটা চমকে গিয়েছিল সাবেল, সে ভেবে ছিল দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ফ্রড করছে কিন্তু সে ভুল প্রমাণিত হয়। যখন ইউপির ছেলে নাউশাদ তার জন্য সৌদি আরব থেকে চাকরি ছেড়ে চলে আসে এরপরে সাবেল বুঝতে পেরেছিল নাউশাদ তাকে সত্যিকারই ভালোবাসে। অবশেষে ২০২২ সালের শিলিগুড়িতে এই দুই ভালোবাসার চার হাত এক হয়।
No comments:
Post a Comment