জন্মদিনের পার্টিতে মদের আয়োজনে খামতি! বার্থ ডে বয়কেই পাঁচতলা থেকে ফেলে দিল বন্ধুরা
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৩ জুলাই: জন্মদিনে বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। খাবার-দাবারের আয়োজনও মন্দ ছিল না। সেইসঙ্গেই ছিল মদ, যা ছাড়া পার্টি নাকি হতেই পারে না। আর এই আয়োজনেই থেকে গিয়েছিল খামতি। বলা ভালো বন্ধুদের তেষ্টার কাছে কম পড়ে গিয়েছিল মদ। আর এরই কঠিন মাসুল গুণতে হল বার্থ ডে বয়কে। পাঁচতলা থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হল তাঁকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে। ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের কল্যাণের।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে কল্যাণ জেলার চিঞ্চপাড়া গ্রামে, বৃহস্পতিবার ২৭ শে জুন। মৃতের নাম কার্তিক ভয়াল। তিনি তাঁর ২৫ তম জন্মদিন সেলিব্রেশনের জন্য তাঁর তিন বন্ধু - নীলেশ ক্ষীরসাগর, সাগর কালে এবং ধীরাজ যাদবকে আমন্ত্রণ করেছিলেন। আর সেই অনুষ্ঠানেই কার্তিককে খুনের অভিযোগ ওঠে তিন বন্ধুর বিরুদ্ধে।
মামলার তদন্তকারী এক পুলিশ আধিকারিক জানান, গভীর রাতে মদ ফুরিয়ে গেলে শুরু হয় গণ্ডগোল। মদ ফুরিয়ে গেলে চারজনের মধ্যেই শুরু হয় বচসা। সময়ের সাথে সাথেই তর্ক বাড়তে থাকে এবং আরও খারাপ হয় পরিস্থিতি। হাতাহাতি পর্যন্ত পৌঁছে যায় বিষয়টি। কার্তিক অপমানিত বোধ করেন এবং নীলেশের মাথায় একটি মদের বোতল ভেঙে দেয়। তারপর তিনজনকেই বাড়ি চলে যেতে বলেন। এর পর কার্তিক তাঁর বেডরুমে গিয়ে শুয়ে পড়ে। নীলেশ, সাগর ও ধীরজ রেগে তাঁর ঘরে গিয়ে তাকে বারান্দায় টেনে আনে এবং পাঁচতলা থেকে নিচে ফেলে দেয়। এতে গভীর চোট পান তিনি এবং রক্তক্ষরণ হয় প্রচুর। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
কার্তিকের পরিবার ঘটনাটি জানতে পেরে পুলিশকে খবর দিলে তিন বন্ধু মিলে একটি গল্প তৈরি করে। তাঁরা পুলিশকে জানান যে, কার্তিক নীলেশের মাথায় বোতল দিয়ে আঘাত করে এবং তারা সবাই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাই কার্তিক কীভাবে বারান্দা থেকে পড়ে গেল তা তারা জানেন না।
কার্তিকের পরিবার পুলিশের কাছে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের আবেদন করে। তদন্তের পর পার্টিতে ঘটে যাওয়া আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। অভিযুক্তদের বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় কার্তিকের মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয় এবং এরপরই তিনজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়। উলহাসনগর পুলিশ এখন নীলেশ, সাগর ও ধীরজের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে।
ভিট্টলওয়াড়ি থানার পরিদর্শক অনিল পডওয়াল জানিয়েছেন, আদালত অভিযুক্তদের ৩ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে। ঘটনার আরও তদন্ত চলছে।
No comments:
Post a Comment