সুস্থ থাকতে দূর করুন ঘুমের সমস্যা
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৪ জুলাই: রাতে ঠিকমতো না ঘুমালে,সারা রাত এপাশ-ওপাশ করে কাটালে, তাহলে স্পষ্টতই সকালে আপনার মুড খারাপ হবে।আপনি ক্লান্ত বোধ করবেন এবং আপনার পেটও ঠিকমতো পরিষ্কার হবে না।শরীর ও মন সুস্থ রাখতে প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।এর চেয়ে কম ঘুমালে অনেক সমস্যা হতে পারে।
অফিসের কাজ,অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার পাশাপাশি পরিবেশগত কারণেও ঘুমের অভাব হতে পারে।এছাড়া কখনও কখনও গুরুতর অসুস্থতার কারণেও ঘুম ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।ঘুমের অভাবে একাগ্রতার অভাব,রাগ, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যায় পড়তে হতে পারে।সকালে ঘুম থেকে ওঠা আপনার জন্য কঠিন কাজ হতে পারে,কিন্তু ঘুমের সমস্যা সমাধানে এটি অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে।সকালে ঘুম থেকে ওঠা রাতে সঠিক সময়ে ঘুমাতে সাহায্য করে।
ওয়ার্কআউট শুধুমাত্র আপনাকে ফিট রাখে না,এটি আপনাকে আরও ভালো ঘুমাতেও সাহায্য করে।২০ থেকে ৩০ মিনিটের ব্যায়াম দিয়ে সকাল শুরু করুন।কার্ডিও, যোগব্যায়াম,অ্যারোবিকস,আপনার জন্য যেরকম ব্যায়াম সম্ভব তার জন্য সময় দিন।এতে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে,যার ফলে ভালো ঘুম হয়।
স্বাস্থ্যকর খাবারও ঘুমের অভাব অনেকাংশে কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে।রাতে ভাজা,মশলাদার ও জাঙ্ক ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।এগুলোর কারণে গ্যাস,অ্যাসিডিটি, ফোলার সমস্যা হতে পারে,যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।রাতের খাবারে শাক-সবজি এবং ডাল অন্তর্ভুক্ত করুন।হালকা এবং সময়মত রাতের খাবার খাওয়া জরুরি।ঘুমানোর অন্তত দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করুন।
ভালো ঘুম চাইলে ঘুমানোর আধা ঘণ্টা আগে ফোন, ল্যাপটপ,টিভি ব্যবহার বন্ধ করুন।এগুলোর পরিবর্তে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম,হালকা স্ট্রেচিং বা বইয়ের সাহায্য নিতে পারেন।
অনেকে মনে করেন যে ঘুমের কারণে সৃষ্ট ক্লান্তি এবং খারাপ মুড এক কাপ কফি বা চা পান করে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। তবে এই সমাধান দীর্ঘমেয়াদে কাজ করবে না।ঘুমের অভাব বা অন্য কোনও ধরনের বাধা উচ্চ রক্তচাপ, বিষণ্নতা এবং ডায়াবেটিসের মতো ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
আপনি যদি প্রশান্তির ঘুমের জন্য আকুল হয়ে থাকেন,তাহলে উপরে উল্লিখিত প্রতিকারগুলি ব্যবহার করে দেখুন এবং তারপরও যদি সমস্যাটি দূর না হয়,তাহলে দেরি না করে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।যিনি দ্রুত ঘুম না হওয়ার সম্ভাব্য কারণ খুঁজে বের করে এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
No comments:
Post a Comment