কাঠুয়া সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ ৫ জওয়ানই উত্তরাখণ্ডের! শোকে মুহ্যমান রাজ্য, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday 9 July 2024

কাঠুয়া সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ ৫ জওয়ানই উত্তরাখণ্ডের! শোকে মুহ্যমান রাজ্য, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর


কাঠুয়া সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ ৫ জওয়ানই উত্তরাখণ্ডের! শোকে মুহ্যমান রাজ্য, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর 



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৯ জুলাই: জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ হয়েছেন উত্তরাখণ্ডের পাঁচ জওয়ান। শহীদদের মধ্যে রয়েছেন সুবেদার আনন্দ সিং, হাবলদার কমল সিং, রাইফেলম্যান অনুজ নেগি, রাইফেলম্যান আদর্শ নেগি, নায়েক বিনোদ সিং। জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ হওয়া সব সেনা জওয়ানই উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা। এই সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ জওয়ানদের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। সোশ্যাল মিডিয়া সাইট এক্স-এ এক পোস্টের মাধ্যমে এই তথ্য দিয়েছেন সিএম ধামি। এই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 


মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেছেন যে, জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ার পাউরি জেলার কমল সিংয়ের শহীদ হওয়ার খবর অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। ভারত মাতাকে রক্ষা করার সময় আপনার দ্বারা করা সর্বোত্তম ত্যাগ সর্বদা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ঈশ্বর পুণ্যাত্মাকে শ্রীচরণে স্থান যেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের এই শোক সইবার শক্তি প্রদান করুন।'


শহীদ জওয়ানরা সবাই উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। সুবেদার আনন্দ সিং কান্দাখাল রুদ্রপ্রয়াগের বাসিন্দা। হাবিলদার কমল সিং ল্যান্সডাউন পাউরি গাড়ওয়ালের, রাইফেলম্যান অনুজ নেগি রিখনিখাল পাউরি গাড়ওয়ালের, রাইফেলম্যান আদর্শ নেগি তেহরি গাড়ওয়ালের। নায়েক বিনোদ সিং, জখান জাখানি ধর জখানিধর তেহরি গাড়ওয়ালের।


পুরো ঘটনার বিষয়ে আধিকারিকরা জানান, সোমবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি ঘটেছে কাঠুয়া শহর থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে লোহাই মালহারের বদনোটা গ্রামের কাছে। যেখানে মাছেদি-কিন্ডলি-মালহার সড়কে সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি টহল দিচ্ছিল। উল্লেখ্য, কাঠুয়া জেলায় এক মাসের মধ্যে এটি দ্বিতীয় বড় হামলা। এর আগে ১২ এবং ১৩ জুন অনুরূপ গুলির লড়াইয়ে, দুই সন্ত্রাসী নিকেশ হয় এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের একজন জওয়ান শহীদ হন।


সোমবার (৮ জুলাই) জওয়ানদের ওপর হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসীরা জঙ্গলে পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসবাদী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির খবর পাওয়া মাত্রই অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানো হয়। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মোট সন্ত্রাসীর সংখ্যা তিন বলে জানা গেছে। ওই সন্ত্রাসীরাও অস্ত্রে সজ্জিত ছিল।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad