জম্মু-কাশ্মীরে সেনার গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, আহত ২ জওয়ান - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday 8 July 2024

জম্মু-কাশ্মীরে সেনার গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, আহত ২ জওয়ান


জম্মু-কাশ্মীরে সেনার গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, আহত ২ জওয়ান 



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৮ জুলাই: জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর গাড়িতে সোমবার আচমকাই হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের গুলি চালানোর পর আমাদের সেনারাও পাল্টা জবাব দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার মাছেদি এলাকায়। বলা হচ্ছে, এই এলাকাটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৯ কর্পের অধীনে রয়েছে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এতে দুই জন জওয়ান আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মাছেরিতে সন্ত্রাসবাদী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে গুলির লড়াই চলছে।


পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ দল মাছেদি এলাকায় তল্লাশি চালালে সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালায়। এই এলাকাটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৯ কর্পের অধীনে আসে। তল্লাশির সময় সন্ত্রাসীরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এলাকায় আরও নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানো হয়েছে।


দুই মাসের মধ্যে সেনাবাহিনীর গাড়িতে এটি দ্বিতীয় সন্ত্রাসী হামলা। এর আগে ৪ মে পুঞ্চের শাহসিতার এলাকায় বিমান বাহিনীর কনভয়ে হামলা হয়, যাতে কর্পোরাল ভিকি পাহাড়ে শহীদ হন এবং আরও ৪ জন জওয়ান আহত হন। সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তা বাহিনীর দুটি গাড়িতে ব্যাপক গুলি চালায়। দুটি গাড়িই সানাই টপের দিকে যাচ্ছিল।


এর পাশাপাশি, দু'দিন আগে কুলগাম জেলায় সন্ত্রাসবাদী ও জওয়ানদের মধ্যে দুটি জায়গায় গুলির লড়াই হয়। এ সময় মোট ৮ সন্ত্রাসী নিকেশ হয়। মোদেরগাম এবং চিন্নিগাম গ্রামে হওয়া গুলির লড়াইয়ে এলিট প্যারা ইউনিটের ল্যান্স নায়েক প্রদীপ কুমার এবং রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল প্রবীণ জানজাল প্রভাকর শহীদ হন। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের মহাপরিচালক আরআর সোয়াইন বলেছেন যে, সন্ত্রাসীদের মারা যাওয়া নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য বড় মাইলফলক, কারণ এটি নিরাপত্তা পরিবেশকে শক্তিশালী করবে। এই সফল অপারেশনগুলো নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য খুবই অর্থবহ। এই অভিযানগুলি একটি বার্তাও দেয় যে, সন্ত্রাসবাদের কারণে মানুষ আর রক্তপাত চায় না।


কয়েকদিন আগে, কাঠুয়া জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে একটি গ্রামে এক ব্যক্তি তাঁর খামারের নীচে সীমান্তে সুড়ঙ্গের সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন, যার পরে নিরাপত্তা কর্মীরা অনুসন্ধান অভিযান শুরু করে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, স্থানীয় পুলিশ সহ সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা ঘটনাস্থলে খনন করছে সুড়ঙ্গটি আছে কি না। হীরানগর বেল্টের থাংলি গ্রামের এক কৃষক লক্ষ্য করেন যে, তার ক্ষেতে আসা জল একটি ছোট খাদে চলে যাচ্ছে। তিনি ভেবেছিলেন এটি একটি আন্তঃসীমান্ত সুড়ঙ্গ হতে পারে। গ্রামবাসী বলেন যে, তিনি পুলিশ এবং বিএসএফকে অবহিত করেন, তারপরে পুলিশ বুলডোজার নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাপক খনন করে, কিন্তু তারা কিছুই পায়নি।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad