চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই, ১৫ দিনের শিশুকন্যাকে জীবন্ত পুঁতে দিলেন বাবা
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৮ জুলাই: আর্থিক অনটনে জেরবার, নিজের ১৫ দিনের শিশুকন্যাকে জীবন্ত মাটিতে পুঁতে দিলেন বাবা। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানের থারুশাহ শহরে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এআরওয়াই নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ আধিকারিকরা প্রকাশ করেছেন যে, বাবার নাম তৈয়ব। আর্থিক অনটনের কথা উল্লেখ করে তিনি এই গুরুতর কাজের কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, আর্থিক অনটনের কারণে তিনি তার নবজাতক কন্যার চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না। নবজাতককে পুঁতে ফেলার আগে বস্তায় ভরে রাখার কথাও স্বীকার করেন তৈয়ব।
অভিযুক্ত তৈয়ব জানান, তিনি সন্তানকে প্রথমে জীবন্ত অবস্থাতেই একটি বস্তায় ভরেছিলেন। তারপর মাটি খুঁড়ে সেই বস্তা পুঁতে দেন। অভিযুক্ত পুলিশকে আরও জানিয়েছেন, অর্থের অভাবে তাঁর নিজেরই পেট চলে না। সন্তানকে কোনও রকমে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু হাসপাতাল থেকে জানানো হয় শিশুর চিকিৎসা প্রয়োজন, যাতে বেশ খানিকটা খরচ করতে হবে। এরপরে শিশুটিকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন বাবা।
এ ঘটনায় তৈয়বের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এআরওয়াই নিউজের মতে, আধিকারিকরা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, আদালতের নির্দেশ অনুসারে, পোস্টমর্টেম পদ্ধতির মাধ্যমে শিশুটির কবর ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য খোঁড়া হবে।
এর পাশাপাশি লাহোরের ডিফেন্স বি এলাকার আরও এক নির্মম ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযোগ, একজন দম্পতি, ১৩ বছর বয়সী গৃহকর্মীর সঙ্গে প্রচণ্ড দুর্ব্যবহার করেছেন; যার মধ্যে বিবস্ত্র করা এবং শারীরিক নির্যাতনও সামিল রয়েছে। নির্যাতিতার মায়ের দায়ের করা অভিযোগের পর, আইন প্রয়োগকারীরা অবিলম্বে অভিযুক্ত হাসমের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। ঘটনার সাথে জড়িত হাসমকে আটক করা হয়েছে এবং তার স্ত্রীকে ধরার চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।
এফআইআর অনুসারে, চুরির সন্দেহে নির্যাতিতাকে নগ্ন করা সহ ক্রমাগত শারীরিক নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হয়। নির্যাতিতার মা এফআইআর-এ আরও বলেছেন যে, ঘটনার সময় তার মেয়ের হাত এবং নাকে ফ্র্যাকচার হয়ে গেছে। ডাক্তারি পরীক্ষার পর নির্যাতিতাকে তার মায়ের তত্ত্বাবধানে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এআরওয়াই নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, পুলিশ সুপার (এসপি) ক্যান্ট আশ্বস্ত করেছেন যে, নিন্দনীয় এই কাজের জন্য দায়ীদের শীঘ্রই বিচারের আওতায় আনা হবে।
No comments:
Post a Comment