'১-২ দিন সময় বের করে--' মণিপুর সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বিশেষ অনুরোধ রাহুলের
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৯ জুলাই: লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী সোমবার (৮ জুলাই) মণিপুরে পৌঁছেছেন। এদিন বেলা ৩টার দিকে মণিপুরে সহিংসতার শিকারদের সঙ্গে দেখা করেন রাহুল গান্ধী। এ সময় তিনি চুড়াচাঁদপুরের ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করেন এবং সেখানে বসবাসকারী মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। এর পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বার্তা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, 'আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি ১-২ দিন সময় বের করে মণিপুরের মানুষের কথা শুনুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিরোধী দলনেতা (এলওপি) হওয়ার পর সংঘাত-বিধ্বস্ত মণিপুরে তাঁর প্রথম সফরে মেইতি এবং কুকি-জোমি সম্প্রদায়ের বাস্তুচ্যুত লোকদের সাথে দেখা করার পর, রাহুল গান্ধী বলেন, তিনি একটি বার্তা দিতে চান। তিনি বলেন, "আমি এখানে আপনাদের ভাইয়ের রূপে এসেছি। আমি এখানে এমন একজন ব্যক্তি হিসেবে এসেছি, যিনি আপনাদের সাহায্য করতে চান, এমন একজন ব্যক্তি যিনি মণিপুরে শান্তি ফিরিয়ে আনতে আপনাদের সাথে কাজ করতে চান।"
লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন যে, "ভারত সরকার এবং প্রত্যেক ব্যক্তি যাঁরা নিজেদের দেশপ্রেমিক বলে মনে করেন, তাঁদের উচিৎ মণিপুরের জনগণের কাছে পৌঁছানো এবং তাদের আলিঙ্গন করা আর মণিপুরে শান্তি ফিরিয়ে আনা। সংবাদমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, 'তাঁর কাছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য একটি বার্তাও রয়েছে। আমার মনে হয়, প্রধানমন্ত্রীর এখানে আসা জরুরি। মণিপুরের লোকেদের কথা শুনুন, মণিপুরে কী হচ্ছে, এটা বোঝার চেষ্টা করুন। শেষ পর্যন্ত মণিপুরও ভারতীয় সংঘের একটি গৌরবময় রাজ্য।'
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আরও বলেন, 'কোনও ট্র্যাজেডি যদি নাও ঘটে, তাও প্রধানমন্ত্রীর মণিপুরে আসা উচিৎ ছিল। একই সঙ্গে আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি দু-এক দিন সময় বের করে মণিপুরের মানুষের কথা শুনুন। এতে মণিপুরের মানুষ স্বস্তি পাবেন।'
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মে মাসে মণিপুরে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে সোমবার ছিল মণিপুরে রাহুলের তৃতীয় সফর। তিনি প্রথমবার জুন ২০২৩ সালে এবং পরের বার এই বছরের জানুয়ারিতে তার ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা শুরু করেছিলেন।
রাহুল গান্ধী ইম্ফলে বলেন, 'সমস্যা শুরু হওয়ার পর থেকে এই তৃতীয়বার আমি এখানে এসেছি এবং এটি একটি বিশাল ট্র্যাজেডি রয়েছে। সত্যি কথা বলতে, আমি পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি আশা করছিলাম, কিন্তু আমি এটা দেখে অনেকটাই নিরাশ হয়েছি যে, পরিস্থিতি এখনও তেমন নয়, যেমনটা হওয়া উচিৎ। আমি শিবির পরিদর্শন করেছি এবং সেখানকার মানুষের কথা শুনেছি, তাঁদের কষ্ট শুনেছি। আমি এখানে এসেছি তাদের কথা শুনতে, তাদের আস্থা অর্জন করতে এবং বিরোধী দলে থাকার জন্য, সরকারকে ব্যবস্থা নিতে চাপ দিতে।
এছাড়াও, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী জিরিবামের দিকে চলে যান, যেখানে তিনি ত্রাণ শিবিরে বাস্তুচ্যুত মেইতি মানুষের সাথে দেখা করেন। সেখান থেকে তিনি শিলচরে ফিরে আসেন এবং ইম্ফল যান এবং চুরাচাঁদপুর জেলায় যান। ইম্ফল ফেরার পথে, তিনি বিষ্ণুপুর জেলার মইরাং-এ থামেন এবং উভয় স্থানেই বাস্তুচ্যুত মানুষের সাথে দেখা করেন। এ সময় তিনি মণিপুরের গভর্নর আনুসুইয়া উইকের সঙ্গেও দেখা করেন।
No comments:
Post a Comment