একটি মানসিক রোগ সিজোফ্রেনিয়া
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,১ জুলাই: সিজোফ্রেনিয়া এমন একটি মানসিক রোগ,যা সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানেন।এই রোগের রোগীরাও এটি সম্পর্কে তখনই জানতে পারেন যখন রোগটি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।
চিকিৎসকরা বলছেন,সিজোফ্রেনিয়া একটি মানসিক সমস্যা। এতে মস্তিষ্কের কিছু অংশে রাসায়নিকের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। এই কারণে চিন্তাভাবনা,কর্মক্ষমতা ও আবেগ সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।যাদের এই রোগের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে তাদের সিজোফ্রেনিয়ার ঝুঁকি থাকে।
এটি এমন একটি রোগ যা শুধুমাত্র রোগীকে নয় তার পুরো পরিবারকেও প্রভাবিত করে।এই বিষয়ে একটি ভুল ধারণা হলো,মানুষ এই রোগের রোগীদের পাগলামির শিকার মনে করে।কিন্তু তা নয়।অন্যান্য মানসিক সমস্যার মতো সিজোফ্রেনিয়াও একটি মানসিক সমস্যা।এই রোগে একটি উদ্বেগের বিষয় হল যে এটি জেনেটিক কারণে হতে পারে।
যদি একজন বাবা বা মায়ের সিজোফ্রেনিয়া থাকে, তবে এটি সন্তানের কাছে যাওয়ার ১০ থেকে ১২ শতাংশ সম্ভাবনা থাকে।সিজোফ্রেনিয়া রোগীদের পাশাপাশি তাদের পরিবার এবং সমাজকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।রোগীর অবস্থার কারণে তাদের প্রায়ই সামাজিক বিচ্ছিন্নতার শিকার হতে হয়।যদি এই রোগটি বাবা-মায়ের কাছ থেকে সন্তানের মধ্যে চলে যায়,তবে অল্প বয়সেই এর লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে।
মানসিক চাপ ঝুঁকি বাড়ায় -
গুরুগ্রামের নিউরোসার্জন ডাঃ হিমাংশু চম্পানেরি বলেছেন যে, নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্যহীনতার কারণে এই রোগ হতে পারে।যদি একজন ব্যক্তি তার জীবনে বড় ট্রমা বা দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ ভোগ করে থাকে,তবে এটি সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণগুলিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।ক্রমবর্ধমান মানসিক চাপের সাথে সিজোফ্রেনিয়া এই রোগের রোগীর সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।এমতাবস্থায় রোগী যাতে কোনও ধরনের মানসিক চাপে না পড়ে সে চেষ্টা করতে হবে।এর জন্য পরিবারের উচিৎ তার সঙ্গে যথাযথ আচরণ করা।
রোগীরা কি সুস্থ হয়ে উঠছেন?
চিকিৎসকরা বলছেন,জিনগত কারণে যেসব রোগী এই রোগে ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে সমস্যাটি গুরুতর।যেখানে বাহ্যিক কারণে বা মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপে ব্যাঘাতের কারণে যাদের মধ্যে এমনটি ঘটে তাদের ক্ষেত্রে ওষুধের মাধ্যমে রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।জেনেটিক রোগীদের সুস্থ হতে সময় লাগতে পারে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে সিজোফ্রেনিয়া নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।এটি শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ যে এই রোগ সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসা করা।
উপসর্গ কী কী?
একা থাকা।
কথা কম বলা।
মনে করা যে কেউ সবসময় দেখছে।
যা হয়নি,তা দেখা।
নিজের জগতে বাস করা।
No comments:
Post a Comment