পুরীতে রথযাত্রায় পদপিষ্ট হওয়ার পরিস্থিতি! উপচে পড়া ভিড়ে মৃত্যু ১ পুণ্যার্থীর, জখম একাধিক
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৭ জুলাই: পুরীর রথযাত্রায় ভয়াবহ পরিস্থিতি, বলভদ্রের রথ তালধ্বজা টানতে গিয়ে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হওয়ার মত অবস্থা। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ঘটনায় দম বন্ধ হয়ে এক পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে এবং ৪০০-র বেশি জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। হুড়োহুড়িতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়ে দুই পুলিশ কর্মীও আহত হয়েছেন। এতে এক পুলিশ কর্মচারীর পা ভেঙে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে শোরগোল পড়ে যায়। আহতদের পুরী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেখানে চিকিৎসা চলছে। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই স্বাস্থ্যমন্ত্রী মুকেশ মহালিং হাসপাতালে পৌঁছে আহতদের খোঁজখবর নেন। সারাদিনের আনন্দে ঘেরা পরিবেশে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই নীরবতা নেমে আসে।
রবিবার পুরীতে রথযাত্রা উদযাপনের উত্তেজনা শীর্ষে ছিল। ভগবান জগন্নাথ, বলভদ্র ও দেবী সুভদ্রার দর্শন পেতে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয়েছিল। বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে পুরীর শঙ্করাচার্য স্বামী নিসচালানন্দ সরস্বতী রথের পূজা করেন এবং অন্যান্য রীতি পালন করেন। এর পরে, ভগবান বলভদ্রের রথ তালধ্বজ টানার প্রক্রিয়া শুরু হতেই ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই হুড়োহুড়িতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। লোকজন এদিক-ওদিক দৌঁড়াতে শুরু করেন এবং একে অপরের ওপর পড়তে থাকেন। ধাক্কাধাক্কির পরিমাণ এতটাই তীব্র ছিল যে, মানুষ সামলে ওঠার সুযোগ পায়নি। দম বন্ধ হয়ে এক পুণ্যার্থীর মৃত্যুর পাশাপাশি ৪০০-র বেশি জন আহত হয়েছেন।
আহতদের পুরী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করা মানুষদের দেখে আঁতকে উঠবেন যে কেউ। আহতদের চিকিৎসা শুরু করেন চিকিৎসক দল। অনেক আহতকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে।
এ দুর্ঘটনায় মৃত ভক্তের পরিচয় পাওয়া যায়নি। পুলিশ তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, মৃত ভক্ত ওডিশার বাইরের বাসিন্দা। এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মুকেশ মহালিং বলেছেন, 'আহতদের সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্য করা হবে।' তিনি আধিকারিকদের দুর্ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment