ভোট আসে-যায়, পাল্টায় না রাস্তা
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ০৭ জুলাই: বৃষ্টি নামলেই গ্রামের কাদা-মাটির রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তা দিয়ে চলাফেরা তো নয়, মনে হয় গ্রামের মানুষ যেন সার্কাস খেলায় নেমেছেন। এমনই দৃশ্য দেখা গেল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায়।
দেগঙ্গা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর কালিয়ানি গ্রামে ঢুকলেই চোখে পড়বে গ্রাম্য রাস্তার দু'পাশে উড়ছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা। সদ্য লোকসভা ভোট শেষ হয়েছে। বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন হাজী নুরুল ইসলাম। এদিকে উন্নয়ন যেন থমকে গিয়েছে এই রাস্তার কাছেই।
গ্রামের মানুষ জানান, উত্তর কালিয়ানি মসজিদ মোড় থেকে হরিতলা আবার কাঁঠালতলা থেকে বিশ্বনাথপুর ক্যাম্পের সামনে টাকি রাস্তায় উঠতে গেলে যে গ্রাম্য মেঠো পথ আছে, এই বৃষ্টিতে তার হাল এতটাই বেহাল যে, হেঁটে চলতেও ঝুঁকি। তাঁদের অভিযোগ, ভোটের আগে রাস্তার অনুমোদন মিলেছে বলে কাগজ দেখিয়ে ভোট চেয়েছিল আর ভোট শেষ হতেই গ্রামের মানুষের হাল যেমন ছিল তেমনই রয়ে গেল। তৈরি হল না কোনও রাস্তা। অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের এই রাস্তার বেহাল দশা। বেহাল রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ যে বাড়ছে, তা স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকদের কানে পৌঁছলেও দলীয় বক্তব্য মেলেনি। এদিকে গ্রামবাসীদের গলায় ক্ষোভের সুর।
স্থানীয় বাসিন্দা সমীর মণ্ডল বলেন, 'নেতা আসে-যায়, কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে রাস্তার দশা একইরকম। ভোটের আগে বলেছিল এক মাসের মধ্যে রাস্তা হবে। তবে আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই মেলেনি।' তিনি বলেন, 'রাস্তায় আসা-যাওয়া মানে সাকার্স খেলা দেখানো হয়। আমরা যেন সার্কাসে সুযোগ পেয়ে যাব এমন ব্যাপার। ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে হয়, গাড়ি এলেই উল্টে যায়। আমরা চাই যে দলই আসুক, রাস্তা যেন ঠিক হয়।'
অপর এক বাসিন্দা ইতিকা মণ্ডল বলেন, 'মাটির এই রাস্তা, সাইকেল-বাইক নিয়ে আসতে যেতে সবাই পড়ে যায়। ছেলেমেয়েরা যেতেই পারে না। জল হলেই এক হাঁটু কাঁদা। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাস্তার হাল বেহাল। ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি মিললেও রাস্তা হয় না। আমরা চাই রাস্তাটা হোক।'
স্থানীয় টোটো চালক ইসমাইল মণ্ডলের কথায়, 'বৃষ্টি হলেই এই রাস্তা দিয়ে চলা দায়। ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করতে হয়। চাইছি রাস্তাটা ঠিক হোক।'
No comments:
Post a Comment