অদ্ভুতই নয় বিপজ্জনকও বটে! প্রাচীনকালে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা হত এসব পদ্ধতিতে - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, January 14, 2025

অদ্ভুতই নয় বিপজ্জনকও বটে! প্রাচীনকালে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা হত এসব পদ্ধতিতে


প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৪ জানুয়ারি: আজকাল, লোকেরা সন্তান জন্ম এড়াতে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। অনেক ধরণের ওষুধের সাহায্য নেয় বা বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করে থাকেন। কিন্তু আপনি কী জানেন যে, প্রাচীন যুগে মহিলারা জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য কেমন পদ্ধতি প্রয়োগ করতেন? উত্তর যদি হয় না, তাহলে আসুন এই প্রতিবেদনে এক নজর দেওয়া যাক। 


প্রাচীনকালের জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিগুলো জানলে অবাক হতে হয়। তবে জনশ্রুতি রয়েছে, প্রাচীনকালে নারীরা সন্তান প্রসব এড়াতে কিছু অদ্ভুত পদ্ধতি অবলম্বন করতেন। যেমন -


১৮৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের অনেক মিশরীয় নথি দেখায় যে, নারীর যোনিতে শুক্রাণু প্রবেশ করতে বাধা দেওয়ার জন্য, যোনিটি কুমিরের মল, মধু এবং সোডিয়াম বাইকার্বোনেটের শক্তিশালী দ্রবণে ভরে দেওয়া হত। মান্যতা ছিল, এতে শুক্রাণুকে যোনিতে প্রবেশ বন্ধ করা এবং এটিকে বাড়তে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।কুমিরের মল আধুনিক শুক্রাণুনাশকের মতো হালকা ক্ষারযুক্ত, তাই এটি কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।


মধ্যযুগীয় যুগে এটাও মনে করা হত যে, যদি কোনও মহিলার উরুর সাথে ডিম্বাশয় এবং উইজেল নামক প্রাণীর হাড় বেঁধে দেওয়া হয় তবে মহিলা গর্ভবতী হবেন না।  


গর্ভাবস্থা প্রতিরোধের সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যবস্থাগুলির মধ্যে একটি হল সীসা এবং পারদের তৈরি একটি ঘোল যা মহিলাদের পান করানো হত। এই ঘোলটি সবার প্রথম চীনে ব্যবহার করা হয়েছিল। যদিও এটি খুব বিপজ্জনক ছিল। কখনও কখনও এর ফলে মৃত্যুও ঘটে। পারদ শরীরের জন্য বিষ। এটি খেলে বন্ধ্যাত্বের আশঙ্কা থাকে।


গ্রীসে, মহিলারা যৌনমিলনের পরে জলপাই তেল এবং দেবদারু তেল মিশিয়ে স্নান করতেন। 


অনেক সংস্কৃতিতে, একটি লেবুর অর্ধেক চেপে শুক্রাণুনাশক হিসাবে ব্যবহার করা হত। লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড শুক্রাণুনাশক রূপে কাজ করত। কিন্তু এটা তাদের জন্য ছিল না যারা সংযমের সঙ্গে কাজ করতেন না।


প্রাচীন গ্রীক এবং রোমানরা পশুর অন্ত্র থেকে তৈরি কনডম ব্যবহার করত। এই কনডম শুধু জন্মনিয়ন্ত্রণই না, যৌন সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করে।


আগে গ্রিনল্যান্ডের বাসিন্দারা বিশ্বাস করত যে চাঁদের কারণে মহিলারা গর্ভবতী হন। তাই চাঁদের দিকে মাথা রেখে ঘুমানো মহিলাদের জন্য নিষিদ্ধ ছিল। তাঁরা যে শুধু চাঁদের দিকে পিঠ দেখিয়ে ঘুমাতেন, তা নয়। তাঁদের নাভিতে থুথুও লাগাতেন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad