নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ২৯ জানুয়ারি: পঞ্চায়েতের কর না দিলে বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতার ফ্রম ফিলাপ করা যাবে না, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ দুয়ারে সরকারে। ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ ব্লকের গোপালনগর এক গ্রাম পঞ্চায়েতের।
দুয়ারে সরকার প্রকল্পে সরকারি পরিষেবা পেতে হলে আগে পঞ্চায়েতের কর পরিশোধ করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। বুধবার গোপালনগর হরিপদ ইন্সটিটিউশনে দুয়ারে সরকার শিবির চলছে। এখানে গিয়ে দেখা গেল পঞ্চায়েতে লোকজন টেবিল পেতে মানুষের কাছ থেকে ট্যাক্স নিচ্ছেন, সেখানেও লম্বা লাইন। লাইনে দাঁড়ানো মানুষের বক্তব্য, পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পঞ্চায়েতের কর পরিশোধ না করলে পরিষেবা পাওয়া যাবে না। বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা-সহ যে সমস্ত পরিষেবা পেতে পঞ্চায়েতের শংসাপত্র লাগে তার জন্য আগে কর দিতে হচ্ছে। করের রশিদ দেখিয়ে মিলবে পঞ্চায়েতের শংসাপত্র।
এই ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। অভিযোগ অস্বীকার করে পঞ্চায়েত প্রধান মুক্তি হালদার বলেন, 'বিরোধীরা ভুল প্রচার করছে। অনেকের অনুরোধে ক্যাম্পের পাশে কর নেওয়ার একটি জায়গা করা আছে, যাঁরা মনে করছেন, দিচ্ছেন। কারণ অনেকেই বলেছিলেন পঞ্চায়েতে গিয়ে কর পরিশোধ করতে পারেননি, দুয়ারে সরকারের আশেপাশে ক্যাম্প থাকলে তাঁরা দিয়ে দিতে পারেন। শুধু তাদেরই জন্য এই কর নেওয়ার ব্যবস্থা।'
বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া বলেন, 'এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প। দুয়ারে সরকারে আমজনতার অভাব অভিযোগে শোনার জায়গা, তাদের চাহিদা পূরণ করার জায়গা। কিন্তু আমরা দেখছি গোপালনগর ১ পঞ্চায়েতের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে কর জমা নেওয়া হচ্ছে। কর না দিলে অ্যাপ্লিকেশন করতে পারবে না।' কর কালেকশনের জন্যই কী তৃণমূল ফাঁদ পেতেছে? প্রশ্ন বিধায়কের।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মতোই চলতি মাসে ফের শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথীর, বার্ধক্য ভাতা বিধবা ভাতার মতো আরও একাধিক প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষের দরজায় দরজায় পৌঁছে দিতে ২০২০ সাল থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। দুয়ারে সরকার থেকে বহু প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যায়। সেখানে এমন অভিযোগ নিয়ে সরব একাধিক বাসিন্দা থেকে বিরোধীরা।
No comments:
Post a Comment