গুণধর প্রেমিকের কীর্তি! ধ-র্ষণের পর পৈশাচিক নির্যাতন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু তরুণীর - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, January 31, 2025

গুণধর প্রেমিকের কীর্তি! ধ-র্ষণের পর পৈশাচিক নির্যাতন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু তরুণীর


প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ৩১ জানুয়ারি: ধর্ষণের পর শারীরিক নির্যাতনের শিকার ২০ বছরের তরুণী। শুক্রবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনা কেরালার চোটানিক্কারার। ২০ বছর বয়সী ওই তরুণীর প্রেমিকের (২৪ বছর বয়সী) বিরুদ্ধেই ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এবং পকসো আইনের প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের একটি দল এই মামলার তদন্ত করছে। 


নির্যাতিতার মায়ের দায়ের করা অভিযোগ অনুযায়ী, তার মেয়েকে তার বাড়িতে বর্বরতার পর অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর গোপনাঙ্গ থেকে অনবরত রক্ত বের হচ্ছিল। পঞ্চায়েত সদস্য প্রদীপ কুমার বলেন, "তাঁর অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তিনি মাটি থেকে উঠতেও পারছিল না। আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাই, কিন্তু তাঁর অবস্থা দেখে চিকিৎসকরা তাকে মেডিক্যাল কলেজে রেফার করেন। সেখানে তাঁকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল।"


তথ্য অনুযায়ী, নির্যাতিতা তাঁর মায়ের সঙ্গেই থাকত। তার বাবা অনেক আগেই গত হয়েছেন। কয়েকদিন আগেই তাঁর প্রেমিক ও বন্ধুদের হুমকির পর তাঁর মা অন্যত্র চলে যান। নির্যাতিতা একটি বিশেষ স্কুলে পড়াশোনা করতেন। তার সঙ্গে খুব নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়। তাঁর গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গভীর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত আগে থেকেই নির্যাতিতাকে চিনত। কিন্তু তিনি তাকে লাগাতার মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতেন।


নির্যাতিতার মা জানান, সে প্রায়ই তাঁদের বাড়িতে আসত। প্রতিবেশীরা তার আসার বিরোধিতা করার পর সে ক্ষুব্ধ হয়। এর আগেও তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে লোকজন। একজন পুলিশ কর্তা জানান, শুক্রবার দুপুরে নির্যাতিতার মৃত্যু হয়। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের বক্তব্য রেকর্ড করার পরই অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা যাবে।


নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার প্রাসঙ্গিক বিধানের অধীনে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন এবং যৌন শোষণের মামলা দায়ের করা হয়। এর সাথে তার ওপর পকসো আইনের প্রাসঙ্গিক ধারাও আরোপ করা হয়েছে। অভিযুক্ত প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে যে, ২৬ জানুয়ারি রাতে সে নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়েছিল। এ সময় দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। তবে তিনি শারীরিক নির্যাতন ও অন্যান্য অভিযোগ স্বীকার করেননি।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad