নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৬ জানুয়ারি, কলকাতা : মেদিনীপুরে প্রসূতি মৃত্যু মামলার সিআইডি তদন্ত এবং সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ১২ জন চিকিৎসককে বরখাস্ত করার ঘোষণা দেন। নবান্নের সভায় তিনি সবার নাম ধরে গাফিলতির কথা উল্লেখ করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, "স্যালাইন মেয়াদোত্তীর্ণ কিনা বা ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা তা সবসময় মনিটরিং করা হয়।" তিনি আরও দাবী করেন যে, যে স্যালাইনটি তদন্তাধীন তা এখনও অন্যান্য অনেক রাজ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ১২ জনকে আপাতত বরখাস্ত করা হয়েছে।" মমতা বলেন, 'মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ওই বিভাগের আরএমও ডাঃ সোমেন দাসকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর পরে সিআইডি বাকি তদন্ত করবে।' এর সাথে ডঃ দিলীপ কুমার পাল, সহকারী অধ্যাপক ডঃ হিমাদ্রি নায়ক, ডঃ মহম্মদ আলাউদ্দিন, ডঃ জয়ন্ত কুমার রাউত (এমএসভিপি), ডঃ পল্লবী ব্যানার্জি (সিনিয়র আরএমও), ডঃ মৌমিতা মণ্ডল (পিজিটি) ডঃ ভাগ্যশ্রী কুণ্ডু (পিজিটি), ডাঃ সুশান্ত মণ্ডল (প্রথম বর্ষের পিজিটি), ডাঃ পূজা সাহা (প্রথম বর্ষের পিজিটি), ডাঃ মনীশ কুমার (প্রথম বর্ষের পিজিটি), ডাঃ জাগৃতি ঘোষ (দ্বিতীয় বর্ষের পিজিটি) - সকলকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'সেদিন যারা দায়িত্বে ছিলেন, যাদের জন্য এই ঘটনাটি ঘটেছে, তাদের রাখা যাবে না। তাদের হাতে অন্য রোগীদেরও ক্ষতি হতে পারে। এই ঝুঁকি নেওয়া যাবে না।" মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "জনগণের উত্তর চাওয়ার অধিকার আছে। যেখানেই অন্যায় থাকবে, তার বিরুদ্ধে কথা বলা হবে। আমরা যেমন ডাক্তারদের প্রতি সহানুভূতিশীল, তেমনই মানুষের দিকটাও দেখতে হবে। তাই তদন্তের সমস্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"
No comments:
Post a Comment