প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০১ ফেব্রুয়ারি: আজকাল, বড়দের কথা তো বাদই দিন, ছোট বাচ্চাদের হাতেও ফোন দেখতে পাওয়া যায়। একবিংশ শতাব্দীর ডিজিটাল যুগে স্মার্টফোন আমাদের জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। একটা সময় ছিল যখন ফোন শুধুমাত্র কাজের জন্য ব্যবহার করা হত, কিন্তু মানুষ যখন থেকে বিনোদনের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার শুরু করেছেন, তখন থেকে তারা এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছেন। মানুষ চোখ খোলার সাথে সাথেই তাদের ফোনের দিকে তাকায় এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগেও মোবাইল ফোনটি তাদের চোখের সামনেই থাকে।
মানুষ মোবাইল ফোন এতটাই ব্যবহার শুরু করেছেন যে, এটি তাদের হাত এবং কব্জির স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। এটা আমরা না বরং অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ডাঃ প্রশান্ত কাম্বলে এবং ডাঃ অ্যাবিটুর্ব এস চুনিয়াও বলছেন। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে তাঁরা কথা বলেছেন। আসুন জেনে নিই মোবাইল আসক্তি কব্জির স্বাস্থ্যের ওপর কীভাবে প্রভাব ফেলে এবং কীভাবে এটি প্রতিরোধ করা যেতে পারে।
মোবাইল আসক্তির কারণে এই রোগগুলি হয়:
ডি কোয়ারভেইন টেন সাইনোভাইটিস: ডাঃ প্রশান্ত কাম্বলে ব্যাখ্যা করেন যে, এই অবস্থাকে প্রায়শই 'টেক্সটিং থাম্ব' বলা হয়। এই অবস্থাটি মানুষের মধ্যে বৃদ্ধাঙ্গুলির বারবার নড়াচড়ার কারণে ঘটে, যার ফলে কব্জির বৃদ্ধাঙ্গুলির পাশের টেন্ডনগুলি ফুলে যায়। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, দীর্ঘক্ষণ টাইপিং, স্ক্রলিং এবং সোয়াইপ করার কারণে ৪৫% পর্যন্ত স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর বুড়ো আঙুল বা কব্জিতে ব্যথা, ফোলাভাব দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, জিনিসপত্র ধরে রাখতেও তাঁদের অসুবিধা হয়।
কার্পাল টানেল সিনড্রোম: ডাঃ চুনিয়ার মতে, দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ব্যবহারের ফলে কব্জির মধ্যবর্তী স্নায়ুর ওপর চাপ পড়তে পারে, যার কারণে ব্যথা, ঝিঁঝিঁ ধরা, অসাড়তা এবং দুর্বলতার মতো লক্ষণ দেখা দেয়।
টেন্ডিনাইটিস: ডাঃ চুনিয়া আরও বলেন যে, অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে টেন্ডনের প্রদাহ হতে পারে, যা কব্জিতে ব্যথা এবং শক্ত হয়ে যাওয়ার কারণ হয়, যার ফলে হাত নাড়াচাড়া করাও কঠিন হয়ে পড়ে।
ট্রিগার ফিঙ্গার: আঙুল বারবার ব্যবহারের ফলে টেন্ডনগুলি দূরবর্তী তালুর কাছে আটকে যেতে পারে, যার ফলে অস্বস্তি হতে পারে এবং আপনার নড়াচড়া প্রভাবিত হতে পারে।
আপনিও এই ধরণের সমস্যা এড়াতে চান তাহলে আপনার এই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ-
নিয়মিত বিরতি নিন: ২০ মিনিটের মধ্যে নিয়মিত মোবাইল থেকে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের বিরতি নিন।
সঠিক ভঙ্গিমা বজায় রাখুন: কব্জির সঠিক ভঙ্গিমা বজায় রাখুন এবং এটিকে বিশ্রীভাবে বাঁকানো এড়িয়ে চলুন।
স্ট্রেচিং: মাঝে মাঝে আপনার কব্জি এবং আঙ্গুলগুলি স্ট্রেচিং করতে থাকুন। শুধু তাই নয়, স্ট্রেথনিং এক্সারসাইজ করুন।
No comments:
Post a Comment