প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৩০ জানুয়ারি: মুখের দুর্গন্ধ এমন একটি সমস্যা যা আপনার সামাজিক এবং ব্যক্তিগত জীবনে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।অফিসের মিটিং হোক,বন্ধুদের সাথে আড্ডা হোক বা বিশেষ কোনও অনুষ্ঠানে মিলিত হওয়া হোক - মুখের দুর্গন্ধ আপনার আত্মবিশ্বাসকে দুর্বল করে দিতে পারে।অনেক সময় মানুষ নিজেরা এই সমস্যাটি শনাক্ত করতে পারে না।কিন্তু তাদের আশেপাশের লোকেরা এটি অনুভব করে,যা অস্বস্তি বাড়ায়।মুখের দুর্গন্ধের পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে।যেমন- দাঁত সঠিকভাবে পরিষ্কার না করা,মাড়ির সমস্যা এবং হজম সংক্রান্ত সমস্যা ইত্যাদি।ইটাওয়ার কুসুম ডেন্টাল ক্লিনিকের ডাঃ ধর্মেন্দ্র সিং ৫ টি কার্যকর পদ্ধতি বলেছেন যা মুখের দুর্গন্ধের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে।
লবণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন:
লবণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলা মুখের দুর্গন্ধ দূর করার সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকর উপায়।এক গ্লাস গরম জলে আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে দিনে দুবার মুখ ধুয়ে ফেলুন।এটি মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করে,যা দুর্গন্ধের প্রধান কারণ।
তাজা ভেষজ চিবোন:
তাজা পুদিনা পাতা চিবিয়ে নিলে মুখের দুর্গন্ধ তাৎক্ষণিকভাবে দূর হয়।পুদিনায় উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করে।পুদিনা ছাড়াও আপনি তুলসী,ধনেপাতা বা জোয়ান চিবিয়ে খেতে পারেন।
নিয়মিত ব্রাশ এবং ফ্লস করুন:
মুখের দুর্গন্ধ এড়াতে দাঁত এবং মাড়ি পরিষ্কার রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।দিনে অন্তত দুবার ব্রাশ করুন এবং রাতে ফ্লস করতে ভুলবেন না।এটি মুখের কোণে এবং দাঁতের মাঝখানে আটকে থাকা খাদ্য কণাগুলিকে সরিয়ে দেয়,যা ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।
দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী খাবার এড়িয়ে চলুন:
রসুন এবং পেঁয়াজের মতো খাবার খাওয়ার পর মুখের দুর্গন্ধের সমস্যা বাড়তে পারে।এই খাবারগুলি খাওয়ার পর অবিলম্বে মুখ ধুয়ে ফেলুন অথবা চিনিমুক্ত চুইংগাম চিবিয়ে খান।যদি আপনি রসুন এবং কাঁচা পেঁয়াজ খান তাহলে মৌরি চিবিয়ে খেতে পারেন।এতেও মুখের দুর্গন্ধ দূর হতে পারে।
হাইড্রেটেড থাকুন:
শুষ্ক মুখ নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধের একটি প্রধান কারণ হতে পারে। সারাদিন পর্যাপ্ত জল পান করলে লালার উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, যা ব্যাকটেরিয়া ধুয়ে ফেলে।ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল পান কমিয়ে দিন,কারণ এগুলো জলশূন্যতা বাড়ায়।শীতের দিনে অনেকেই জল পান কমিয়ে দেন,যার ফলে মুখে দুর্গন্ধ হয়।তাই শীতকালেও প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল পান করুন।
বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।
No comments:
Post a Comment