প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৪ ফেব্রুয়ারি: ধীরে ধীরে শীতকাল শেষ হয়ে গ্রীষ্মকাল শুরু হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে একজন ব্যক্তির ঋতু অনুযায়ী তার খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা উচিৎ। গ্রীষ্মের মরসুমে বেশিরভাগ মানুষই জলশূন্যতায় ভোগেন। এমন পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকতে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া খুবই জরুরি। এর জন্য কিছু বীজ আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। গ্রীষ্মে আপনার খাদ্যতালিকায় কোন বীজ অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন জেনে নেওয়া যাক -
১) চিয়া বীজ
চিয়া বীজের কালো বা সাদা বীজ ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার, প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজে ভরপুর। সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে এই বীজগুলো স্মুদি, পুডিং এবং ওটসে মিশিয়ে খেতে পারেন। এই বীজ পেট ঠাণ্ডা রাখে, তাই গরমে এই বীজ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া এই বীজ রক্তচাপ ও প্রদাহ কমাতে এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
২) শণের বীজ
শণ বা তিসি বীজ গুণের ভান্ডার। এই বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার এবং প্রোটিন। এই বীজগুলি হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। শণের বীজে প্রদাহ বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা গ্রীষ্মে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করতে পারে।
৩) সূর্যমুখী বীজ
সূর্যমুখী বীজে উপস্থিত জিঙ্ক এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের বৃদ্ধিকে তরান্বিত করতে পারে। এই বীজের স্বাদ আখরোটের মতো। এগুলি সালাদ, ট্রেইল মিক্স এবং বাড়িতে তৈরি গ্রানোলা বারগুলিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই বীজ ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ, সূর্যমুখী বীজ পুষ্টিকর এবং আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে।
৪) কুমড়োর বীজ
কুমড়োর বীজ হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এই বীজগুলি ওজন কমানো থেকে শুরু করে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। জিঙ্ক, আয়রন এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ, কুমড়োর বীজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শক্তির মাত্রা বাড়ায়। এই বীজগুলি হজমের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য উপকারী।
No comments:
Post a Comment