প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২১ ফেব্রুয়ারি: গ্রীষ্মকালে শরীরকে ঠাণ্ডা ও হাইড্রেটেড রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রবল সূর্যালোক এবং ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার কারণে, আমাদের বিশেষ খাদ্যের প্রয়োজন, যা কেবল শরীরকে শীতলতাই দেয় না, স্বাস্থ্যও ঠিক রাখে। এমন পরিস্থিতিতে কিছু বিশেষ খাবার আপনার জন্য উপকারী হতে পারে। গরমের সময় হজম প্রক্রিয়া দুর্বল হয়ে পড়ে এবং শরীরে জলের অভাব দেখা দেয়। কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার এই ঘাটতি পূরণে এবং হজমের উন্নতিতে কার্যকরী প্রমাণিত হতে পারে। আসুন জেনে নিই এমনই ৫টি স্বাস্থ্যকর খাবারের কথা।
গরমে সুস্থ রাখবে ৫টি খাবার-
তরমুজ
গ্রীষ্মে তরমুজ একটি দুর্দান্ত ফল, কারণ এতে প্রায় ৯২ শতাংশ জল থাকে, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বকে উজ্জ্বলতা আনতে সাহায্য করে। গরমে তরমুজ খেলে শরীর থেকে দুর্বলতা দূর হয় এবং শরীরে শীতলতা আসে।
শসা
গ্রীষ্মকালে শসাও একটি আদর্শ খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে জল রয়েছে, যার কারণে এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। শসাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার, যা হজমশক্তি উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়। এটি ত্বকের জন্যও উপকারী এবং শরীরে শীতলতা প্রদান করে।
দই
গরমে দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ, যা হজমের উন্নতি করে এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। দই শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে কাজ করে এবং শরীরে সতেজতা বজায় রাখে। দই স্মুদি, রায়তা বা সালাদ আকারেও খেতে পারেন।
নারকেল জল
গ্রীষ্মে শরীরের জন্য নারকেল জল একটি দুর্দান্ত পানীয়। এটি প্রাকৃতিকভাবে হাইড্রেটিং এবং শরীরে তাত্ক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করে। নারকেলের জলে রয়েছে পটাশিয়াম, সোডিয়াম এবং মিনারেল, যা শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে। শীতল প্রভাবের কারণে গ্রীষ্মে এটি অত্যন্ত উপকারী।
পুদিনা
গ্রীষ্মে শরীর ঠাণ্ডা রাখার জন্য পুদিনা অন্যতম সেরা ভেষজ। এটি আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা শুধুমাত্র শরীরকে শীতল করে না, এটি হজমেও সাহায্য করে। পুদিনা চা বা শরবত পান করলে শরীর সতেজ থাকে, পেশিও শিথিল হয়। এছাড়া এটি শরীরকে ডিটক্সিফাই করে।
বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু, পরামর্শ সহ শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে। এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
No comments:
Post a Comment