বাংলাদেশে সক্রিয় আল-কায়েদা! আইএসআই-এর নির্দেশে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুর

প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৭ ফেব্রুয়ারি : বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।  তার বাড়িতে এখনও লুটপাট চলছে।  শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙার পেছনে বাংলাদেশের মুসলিম মৌলবাদী এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির হাত রয়েছে।  বাংলাদেশে অস্থিরতার পেছনে আল কায়েদা, হিজবুত তাহরির এবং আনসার ইসলামের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলি জড়িত।  এই সন্ত্রাসী সংগঠনগুলিকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই সাহায্য করছে।  এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

 শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙার ঘটনায় ভারতে বসেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  অন্যদিকে, মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলছে যে শেখ হাসিনা ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন বলেই এসব ঘটছে।  বাংলাদেশও বলেছে যে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাঙার ঘটনা অনিচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছিল, কিন্তু এটা কি আসলেই সত্য?  নাকি ধান মান্ডির ঘটনার পিছনে অন্য কোনও খেলা চলছে?

 বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে একের পর এক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নাম বেরিয়ে আসছে।  গোয়েন্দা আধিকারিকরা বলছেন, বাংলাদেশে অস্থিরতার পেছনে আল কায়েদা, হিজবুত তাহরির এবং আনসার ইসলামের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির হাত রয়েছে।  বাংলাদেশের ঘটনাবলী প্রমাণ করে যে এই সংগঠনগুলি কাগজে-কলমে নিষিদ্ধ হলেও প্রকাশ্যেই কাজ করছে।

ধান মান্ডিতে ৭২ ঘন্টা ধরে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে।  শুধু বঙ্গবন্ধুর বাড়িই নয়, বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এবং প্রাক্তন সেনাপ্রধানের বাড়িও ভাঙচুর করা হচ্ছে।  সে দেশের পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকায় দাঁড়িয়ে আছে।  এই বর্বরতার পিছনে সরকার জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে এবং এই ছবি দেখার পর গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন যে, আসলে মৌলবাদীদের উত্থানের কারণে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলি ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে।  খবর আছে যে কেবল বাংলাদেশেই নয়, পাকিস্তানেও সীমান্তে মৌলবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

 প্রাক্তন এনএসজি অফিসার দীপাঞ্জন চক্রবর্তী দাবী করেন যে বাংলাদেশে সক্রিয় সমস্ত সংগঠন আসলে মূল সংগঠনের শাখা।  তাঁর কথায়, “আসলে আইএসআই এই সমস্ত কার্যকলাপের সাথে জড়িত।  সবকিছুই পাকিস্তানের ছত্রছায়ার নিচে ঘটছে।  বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন বাজে কথা।"

 অবসরপ্রাপ্ত বিমান বাহিনীর আধিকারিক আর কে দাস জানিয়েছেন, এই সমস্ত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ আসলে নিজের পায়ে কুড়াল মারছে।  তিনি বললেন, "একটি বাড়ি ভেঙে কি তুমি সমস্ত ইতিহাস মুছে ফেলতে পারো?"