প্রেসকার্ড নিউজ স্পোর্টস ডেস্ক, ২৫ ফেব্রুয়ারি: শুভমান গিলকে মাঠ ছেড়ে যেতে বলে হিরো সাজতে গিয়েছিলেন কিন্তু উল্টে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় পাক লেগস্পিনার আব্রার আহমেদকে। এবারে সেই ঘটনার ভিডিও পোস্ট করা হল রাজ্য পুলিশের সমাজমাধ্যম দেওয়ালে। সেইসঙ্গে দেওয়া হল বিশেষ বার্তা; 'মাঠে হোক বা রাস্তাঘাটে, ঘাড় সব সময় সোজা রাখুন। না হলে ঘাড়ধাক্কা খেয়ে যেতে পারেন।' পাশাপাশি ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে 'ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননি ছিঃ'।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রবিবার ছিল ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ। টানটান এই ম্যাচে ঘটে যায় তোলপাড় করা এক ঘটনা, যা ক্রিকেটবিশ্বে ব্যাপক আলোড়ন ফেলেছে। এদিন দুবাইয়ে শুভমন গিলকে বোল্ড করে চোখের ইশারায় ঘাড় নেড়ে তাঁকে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলেন পাক লেগস্পিনার আব্রার আহমেদ। আর এই কীর্তির পরেই প্রবল সমালোচনার শিকার হন আব্রার। এবারে পাক স্পিনারকে উদাহরণ করে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করল রাজ্য পুলিশও। সেইসঙ্গে ব্যাকগ্রাউন্ডে ভাইরাল গান ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননি ছিঃ বাজিয়ে তাঁকে ধিক্কারও জানানো হল।
সোমবার আব্রারের ঘাড় নাড়ানোর ভিডিও পোস্ট করেরাজ্য পুলিশ পথ নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতার বার্তা দিয়েছে। পোস্টে লেখা হয়েছে, 'মাঠে হোক বা রাস্তাঘাটে, ঘাড় সব সময় সোজা রাখুন। না হলে ঘাড়ধাক্কা খেয়ে যেতে পারেন।' সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ হ্যাশট্যাগ ও ব্যাকগ্রাউন্ডে ভাইরাল গান ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননি ছিঃ-ও ব্যবহার করা হয়েছে সেইসঙ্গে। রাজ্য পুলিশের সেই পোস্ট রি-পোস্ট করেছে আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশও।
রবিবার শুভমনকে বোল্ড করে দেন আব্রার। আর গিল বোল্ড হতেই সতীর্থদের দিকে ছুটে যান আব্রার। এরপরই দুই হাত বুকের কাছে আড়াআড়িভাবে রেখে চোখের ইশারায় গিলকে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলেন পাক লেগস্পিনার। এটা নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। কারণ, পাকিস্তান সেই ম্যাচে কোণঠাসা। অথচ হারের মুখে দাঁড়িয়েও যেন ঔদ্ধত্য দেখিয়ে ফেলেন পাক স্পিনার। যা নিয়ে ওয়াসিম আক্রমের মতো পাক কিংবদন্তিও যথেষ্ট ক্ষুব্ধ। আর সমাজমাধ্যমে যে পরিমাণ ট্রোলের মুখে তিনি পড়েছেন, তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারত-পাক মহারণে যশপ্রীত বুমরাহর করা সেই কুখ্যাত নো বল ফখর জামানকে আউট হওয়া থেকে বাঁচায়। পরে তিনিই পাকিস্তানকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন। বুমরার সেই ওভারস্টেপিং নিয়ে পুলিশ সচেতনতামূলক প্রচারে ব্যবহার করে বিতর্ক তৈরি করেছিল। এবার পাক লেগস্পিনারের কাণ্ড নিয়ে সচেতনতার প্রচার রাজ্য পুলিশের।
No comments:
Post a Comment