প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৯ ফেব্রুয়ারি: বিগত ৪ দশক অর্থাৎ ৪৫ বছর ধরে তেল-বাতি ছাড়া জ্বলছিল মন্দিরের প্রদীপ, আচমকাই সেগুলো নিভে যায়। ঘটনা কর্ণাটকের উত্তর কন্নড় জেলার মুন্ডগোডের চিগাল্লিতে অবস্থিত দীপানথেশ্বর মন্দিরের। এখানকার প্রদীপগুলো ৪৫ বছর ধরে তেল এবং বাতি ছাড়াই জ্বলছিল। ১৯৭৯ সালে, দৈবগ্যা শারদম্মা নামে এক মহিলা মন্দিরে এই প্রদীপগুলি জ্বালিয়েছিলেন। একটানা চার দশক ধরে তেল ছাড়াই জ্বলছিল তিনটি প্রদীপ। মান্যতা রয়েছে, এসব প্রদীপ যদি নিভে যায়, রাজ্যের শাসকদের জন্য অনিষ্ট হবে। এর জেরে রাজ্যের জন্য কোনও অশুভ কিছু অপেক্ষা করছে না তো! তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
মন্দিরে পূজা করা পুরোহিত ভেঙ্কটেশের ১৫ দিন আগেই মৃত্যু হয়। পুরোহিতের মৃত্যুর সুতকের কারণে মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল মন্দির কমিটি। গোকর্ণ এলাকায় পুরোহিত ভেঙ্কটেশের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান হয়। সুতক শেষ হওয়ার পর মন্দিরের দরজা খোলা হলে দেখা যায়, তিনটি প্রদীপই নিভে গেছে। নাগরত্ন নামে এক ব্যক্তি মন্দিরের দরজা খুলে দেখতে পান প্রদীপ নিভে গেছে। এরপর অনেক চেষ্টা করেও প্রদীপ জ্বলেনি।
গ্রামে অনিষ্টের আশঙ্কায় গ্রামবাসীরা মন্দিরের দরজা বন্ধ করিয়ে দিয়েছেন। দর্শনে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে মন্দিরের দরজায় তালা দেওয়া হয়েছে। গুরুজনদের পরামর্শ নিয়ে চার-পাঁচ দিন পর মন্দিরের দরজা খোলার কথা ভাবছে কমিটি।
বর্তমানে রাজেশ গুরুজীর পরামর্শে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালানোর কথা চলছে। স্থানীয় লোকজন জানান, এই মন্দিরে ধর্মগুরু বীরেন্দ্র হেগড়ে, পেজওয়ার স্বামীজি, দলাই লামা, আনন্দ গুরুজি এসেছেন।
কমিটি হান্নাভার কেরকি দেবীগ্য ব্রাহ্মণ সমাজের শ্রী জ্ঞানেশ্বর ভারতী স্বামীজির সাথে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া মন্দিরের ধর্মীয় আধিকারিক বীরেন্দ্র হেগড়ের সঙ্গে পরামর্শ করার পরিকল্পনাও করা হয়েছে।
১৯৭৯ সালে, কলমেশ্বর মঠের প্রচার কার্যক্রমে ব্যস্ত শারদা বাই দৈবগ্যা এই প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন। কয়েকদিন তেল ছাড়াই প্রদীপ জ্বলতে থাকলে, পরীক্ষার জন্য আরও দুটি প্রদীপ জ্বালানো হয়। তারপর এই দুটি প্রদীপও তেল ছাড়াই জ্বলতে থাকে এবং একটি অতিপ্রাকৃত ঘটনা ঘটে। সেই থেকে আজ অবধি কলমেশ্বর মঠের গুরুদের নির্দেশে দত্তাত্রেয় রূপে এই প্রদীপের পূজা হয়ে আসছে। ৪৫ বছর ধরে তেল ছাড়া তিনটি প্রদীপ জ্বলছিল।
No comments:
Post a Comment