প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ০৩ ফেব্রুয়ারি : চুল ছাড়া মানুষের মুখের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু চুলের কাজ কেবল সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা নয়, এটি মাথার ত্বককে সূর্যের আলো থেকেও রক্ষা করে। বিভিন্ন মানুষের চুলের আকৃতি ভিন্ন। কিছু মানুষের চুল সোজা থাকে আবার অনেকের চুল কোঁকড়া থাকে।
কিন্তু কখনও কি জানার চেষ্টা করেছেন যে কোঁকড়ানো চুলের পিছনের কারণ কী? অবশ্যই, কোঁকড়ানো চুল দেখতে আকর্ষণীয় কিন্তু এটি পরিচালনা করাও সমানভাবে কঠিন। আসুন আমরা আপনাকে কোঁকড়া চুলের বিজ্ঞান সম্পর্কে বলি।
সহজ কথায়, কোঁকড়ানো চুলের জন্য লোমকূপ (locomotor) দায়ী। এগুলো ত্বকের ভেতরে থাকে। সোজা লোমকূপ থেকে সোজা লোমকূপ তৈরি হয়, অন্যদিকে কোঁকড়া চুল থেকে বাঁকা লোম গজায়। কিন্তু মাথায় বাঁকা লোমকূপ কেন থাকে, এটাও একটা বড় প্রশ্ন।
এক্সপেরিমেন্টাল ডার্মাটোলজিস্টে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, ভ্রূণের বিকাশের সময় প্রতিটি চুলের লোমকূপের আকৃতি তৈরি হয়। কিন্তু বিজ্ঞানীরাও জানেন না কিভাবে এটি ঘটে। বাঁকা লোমকূপগুলি S-আকৃতির এবং দুটি প্রান্ত বিশিষ্ট। এই আকৃতি চিরকাল এইরকমই থাকে। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে, লোমকূপগুলিতে অনেক কাঠামোগত পরিবর্তন আসে। মাথার প্রতিটি চুল প্রায় ৩ থেকে ৫ বছর ধরে বৃদ্ধি পায় এবং কয়েক মাস বিশ্রামের মধ্য দিয়ে যায়। তারপর এটি মাথা থেকে পড়ে যায়।
গবেষণা অনুসারে, বিশ্রামের সময় লোমকূপের গঠন পরিবর্তিত হয়। চুলের বৃদ্ধির নতুন পর্যায় শুরু হওয়ার আগে ফলিকলগুলি তাদের আগের আকারে ফিরে আসে। অর্থাৎ, যদি লোমকূপ সোজা হয় তাহলে চুল সোজা হবে কিন্তু যদি লোমকূপ বাঁকা হয় তাহলে চুল কোঁকড়া হবে।
চুলের কোঁকড়ানো ভাব জিনের উপর নির্ভর করে। একজন ব্যক্তির জিন নির্ধারণ করে যে তার চুল কেমন হবে - কোঁকড়া না সোজা। এর মানে হল, যদি বাবা-মায়ের মধ্যে একজনের চুল কোঁকড়া থাকে, তাহলে তাদের সন্তানদেরও কোঁকড়া চুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
বিজ্ঞানীরা আরও বলেন যে কোষগুলি যেভাবে বিভাজন করে এবং নির্দিষ্ট প্রোটিন তৈরি করে তা অসম। এগুলো বক্র ফলিকলের বাঁকের সাথে সম্পর্কিত। এতে চুল কোঁকড়া হয়ে যায়। তাই, পরের বার যখন আপনি আয়নায় আপনার চুল দেখে ভাববেন যে আপনার চুল সোজা নাকি কোঁকড়া - মনে রাখবেন যে বিজ্ঞানীরা এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।
No comments:
Post a Comment