প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৩ ফেব্রুয়ারি:মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি 'শুল্ক লবি' এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য অংশীদারদের নিশানা করে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ট্রাম্প মনে করেন, কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের মতো বিশ্বের অনেক দেশ দীর্ঘদিন ধরেই আমেরিকাকে অর্থনৈতিকভাবে শোষণ করে আসছে। ট্রাম্প একটি পোস্টে বলেছেন, "আমরা কানাডাকে ভর্তুকি দেওয়ার জন্য শত শত বিলিয়ন ডলার দিই, কেন? কোনও কারণ নেই। তাদের যা আছে তা আমাদের দরকার নেই। আমাদের সীমাহীন শক্তি আছে, আমাদের প্রয়োজন আমাদের "গাড়িগুলি নিজেদের তৈরি করতে হবে এবং আমাদের কাছে এত কাঠ আছে যে আমরা কখনই সেসব সম্পূর্ণ ব্যবহার করতে পারি না।"
অন্য একটি পোস্টে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে (আমেরিকান মিডিয়া সংস্থা) এই 'শুল্ক লবির' প্রধান হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন যে, আমেরিকার বিরুদ্ধে কাজ করছে। ট্রাম্প বলেন, "এই বিশাল ভর্তুকি ছাড়া, কানাডা একটি কার্যকর দেশ হিসাবে অস্তিত্বে থাকতে পারে না। কঠোর কথা, কিন্তু সত্য! তাই, কানাডাকে আমাদের ৫১তম রাজ্য হওয়া উচিৎ, যেখানে খুব কম ট্যাক্স এবং কানাডার লোকেদের জন্য অনেক ভালো সামরিক নিরাপত্তা থাকবে - এবং কোনও শুল্ক থাকবে না।"
ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন যে, আমেরিকাকে আর "মূর্খ দেশ" হওয়া উচিৎ নয় যা অন্য দেশের ভর্তুকির জন্য তার নাগরিকদের সম্পদ নষ্ট করে। ট্রাম্প বলেন, "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানাডা, মেক্সিকো এবং চীনের সাথে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে (এবং প্রায় সমস্ত দেশ!), ৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ রয়েছে এবং আমরা আর "বোকা দেশ" থাকব না।"
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, "নিজের পণ্য আমেরিকাতে তৈরি করুন, যেখানে কোনও শুল্ক থাকবে না। অন্যান্য দেশকে ট্রিলিয়ন ডলার ভর্তুকি কেন আমেরিকাকে দিতে হবে এবং এই অন্যান্য দেশগুলিকে, উদাহরণস্বরূপ, ওষুধ এবং সেই সংক্রান্ত সরঞ্জামের জন্য আমেরিকান নাগরিকদের দেওয়া চলমান খরচের একটি ছোট অংশ কেন চোকাতে হবে?"
তাঁর 'মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন' প্রচারণাকে এগিয়ে নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প ওষুধ ও সরঞ্জামের উদাহরণ দিয়েছেন এবং বলেন যে, এই ক্ষেত্রে আমেরিকার ক্ষতি হওয়া উচিৎ নয়। তিনি আমেরিকান কোম্পানিগুলোকে এখানে উৎপাদন করার জন্য আবেদন করেন, যাতে আমেরিকা শুল্ক থেকে লাভবান হতে পারে। ট্রাম্প একে আমেরিকার 'স্বর্ণযুগ' হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, "এই পরিবর্তন শুধু দেশের অর্থনীতির উন্নতিই করবে না, আমেরিকাকে তার হারানো গুরুত্ব ফিরিয়ে দেবে।"
No comments:
Post a Comment