প্রতিদিনের এই ৫টি কাজে বাড়তে পারে মারাত্মক মানসিক রোগের ঝুঁকি, সতর্ক হন আজই - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, February 18, 2025

প্রতিদিনের এই ৫টি কাজে বাড়তে পারে মারাত্মক মানসিক রোগের ঝুঁকি, সতর্ক হন আজই


প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৮ ফেব্রুয়ারি: সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য, শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়াও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে যেখানে শারীরিক থেকে মানসিক কাজের চাপ ও প্রেসার বাড়ছে, সেখানে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার প্রয়োজনীয়তাও সমানভাবে বেড়েছে। মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা যেমন স্ট্রেস, উদ্বেগ এবং বিষণ্নতাও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক কারণ ছাড়াও আমাদের কিছু অভ্যাসও মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির জন্য দায়ী। যদি এই অভ্যাসগুলি আপনার দৈনন্দিন রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তবে ভবিষ্যতে আপনার কোনও গুরুতর রোগের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই অভ্যাসগুলি আপনার রুটিন থেকে বাদ দিন। যেমন -


 নিজেকে মোটেও সময় না দেওয়া

এটি একটি গলা কাটা প্রতিযোগিতার যুগ এবং এমন পরিস্থিতিতে আমাদের সকলের জীবনযাত্রা খুব ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। এই ব্যস্ত লাইফস্টাইলেও একটু সময় বের করা বেশ চ্যালেঞ্জিং। এই দৌড়ে এগিয়ে থাকার জন্য, লোকেরা প্রায়শই খুব কঠোর পরিশ্রম করেন। অনেক সময় অফিস টাইমের পরেও মানুষ কাজে ব্যস্ত থাকেন। এভাবে সারাদিন কাজে ব্যস্ত থাকা এবং নিজের জন্য কোনও সময় বের করতে না পারা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। প্রতিদিন নিজের জন্য কিছু সময় বের করে মনকে সতেজ রাখা ভালো। এতে আপনি বার্নআউটের শিকার হবেন না এবং আপনার উৎপাদনশীলতাও ভালো থাকবে।


খুব বেশি চাপ নেওয়া 

আমরা সবাই কোনও না কোনও বিষয়ে চাপে থাকি। কিছু চাপ নেওয়া স্বাভাবিক এবং ভুল নয়। কিন্তু, আপনি যদি প্রায়ই প্রতিটি ছোট-বড় বিষয়ে চাপে থাকেন তবে এটি মোটেও ভালো নয়। সব সময় কিছু নিয়ে চাপে থাকা এবং আপনার মনের ওপর অপ্রয়োজনীয় চাপ দেওয়া আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে এইভাবে চাপের মধ্যে থাকেন তবে এটি আপনার মস্তিষ্ক এবং মানসিক স্বাস্থ্য উভয়ের জন্য মোটেই ভালো নয়।


 পর্যাপ্ত ঘুম না ঘুমানো

প্রতিদিন অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার যদি পর্যাপ্ত ঘুম না হয়, তবে আপনি আপনার শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের ঝপর এর প্রভাব দেখতে পাবেন। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এ ছাড়া দৈনন্দিন উৎপাদনশীলতা এবং ফোকাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই অভ্যাস চালিয়ে গেলে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা তৈরি হতে পারে।


 ডায়েটের যত্ন না নেওয়া

 শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে খাদ্যাভ্যাসের যত্ন নেওয়াও সমান জরুরি। ভালো খাদ্যাভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে। এটি মেজাজের স্তরকেও প্রভাবিত করে। আপনার ডায়েটে যতটা সম্ভব খাবার অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করুন যাতে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন, জিঙ্ক এবং আয়রন থাকে। যত বেশি পুষ্টিকর খাবার খাবেন মানসিক রোগের ঝুঁকি তত কম হবে।


কোনও ধরণের শারীরিক কার্যকলাপ না করা

আপনার শরীরের পাশাপাশি মন সুস্থ রাখতে, আপনার রুটিনে কোনও ধরণের শারীরিক কার্যকলাপ অন্তর্ভুক্ত করুন। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর যোগব্যায়াম, প্রাণায়াম বা ব্যায়ামের জন্য কিছু সময় বের করুন। প্রকৃতির বাইরে কিছু সময় কাটান এবং নিজেকে শান্তিতে সময় দিন। আপনি যদি আপনার রুটিনে কোনও ধরণের শারীরিক ক্রিয়াকলাপ অন্তর্ভুক্ত না করেন তবে এটি আপনার মস্তিষ্ক এবং শরীরের স্বাস্থ্য উভয়ের ওপরই নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad