Thursday, February 6, 2025

ভাসমান পাথরের পূজা করা হয় এই মন্দিরে!



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ০৬ ফেব্রুয়ারি : গুজরাটের বনসকাঁথা কেবল তার খামার এবং পশুপালনের জন্যই বিখ্যাত নয়, এর মাটি আধ্যাত্মিক অলৌকিকতায়ও পরিপূর্ণ।  এখানকার মন্দিরগুলির মধ্যে একটি মন্দির রয়েছে, যার পিছনে লুকিয়ে আছে এক অনন্য গল্প।  আমরা দিসা তালুকের ধুয়া গ্রামে অবস্থিত বুটেশ্বর মহাদেব মন্দিরের কথা বলছি।  এই মন্দির প্রতিষ্ঠার পিছনে লুকিয়ে আছে এক আকর্ষণীয় ঐতিহাসিক কাহিনী।  এখানে আগত ভক্তরা কী বিশ্বাস করেন তা জানুন।



 প্রাচীনকালে ধুভা গ্রামে 'গৌ লোক তালাব' নামে একটি পুকুর ছিল।  রাখালরা তাদের গরুগুলোকে এই পুকুরের ধারে চরাতে নিয়ে আসত।  এখানে গবাদি পশু চরানোর সময়, রাখালরা পুকুরের মাঝখানে যে পাথর বেরিয়ে আসত তা ছুঁড়ে মারত, কিন্তু যখন রাখালরা লক্ষ্য করত যে তাদের পুকুরে যে পাথরগুলো ফেলে দেওয়া হয়েছিল সেগুলো পরের দিন ভেসে তীরে চলে আসবে।  এই অলৌকিক ঘটনার পর, গোপালরা সেই স্থানে একটি ছোট শিবলিঙ্গ স্থাপন করেন, যা আজ বুটেশ্বর মহাদেব নামে পরিচিত।


 

 সময়ের সাথে সাথে, এই ছোট মন্দিরটি গ্রামবাসীদের ভক্তির কেন্দ্র হয়ে ওঠে।  সম্মিলিত প্রচেষ্টায়, গ্রামবাসীরা একটি বিশাল মন্দির নির্মাণ করেন, যা আজ বনসকাঁথা এবং আশেপাশের জেলার ভক্তদের বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।  আজও, সেই প্রাচীন ভাসমান পাথরগুলি মন্দিরে নিরাপদে রয়েছে, যেগুলিকে ভক্তরা শিবলিঙ্গের সাথে পূজা করেন।


 

 ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে এখানে করা সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়।  মানুষ এখানে বিশেষ করে পশুর রোগ, চর্মরোগ এবং শিশুদের রোগের জন্য গুড় সরবরাহ করে।  রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার পর, ভক্তরা গুড়ের প্রসাদ গ্রহণ করেন।  শ্রাবণ মাস ছাড়াও প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক ভক্ত এখানে দর্শনের জন্য আসেন।


No comments:

Post a Comment