প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৯ ফেব্রুয়ারি: স্ত্রীকে অপহরণ ও গণধর্ষণ মামলার সাক্ষী স্বামীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ময়নপুরীতে। পোশাকের ভিত্তিতে মৃতের পরিচয় শনাক্ত করেন স্বজনরা। এরপর মৃতের বাবা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করেছেন। আপাতত অর্ধদগ্ধ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুরো বিষয়টি ময়নপুরীর বিছওয়ান থানা এলাকার। এখানে সম্প্রতি ক্ষেতের পাশে একটি অর্ধ-দগ্ধ দেহ পাওয়া যায়। পুলিশ দেহটি শনাক্ত করার চেষ্টা করলে জানতে পারেন, এটি ৪০ বছর বয়সী সাজিদের। পরিবারের সদস্যরা কাপড় দেখে সাজিদের মরদেহ শনাক্ত করেন। তাদের অভিযোগ, সাজিদের স্ত্রীকে অপহরণ করা হয়, চার মাস বন্দি করে রাখা হয় এবং পরে গণধর্ষণ করা হয়। এ মামলার সাক্ষী ছিলেন সাজিদ। আদালতে সাক্ষ্য না দেওয়ায় অভিযুক্ত তাঁকে হুমকি দেয়। রাজি না হলে তাঁকে খুন করা হয়।
মৃতের পরিবারের সদস্যরা জানায়, গণধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত ভোলা প্রধান ও তার ছেলেরা সাজিদের ওপর চাপ দিয়েছিল বোঝাপড়ার জন্য এবং হুমকি দিয়েছিল, সাক্ষ্য দিলে প্রাণ হারাতে হবে। এমনকি তাঁকে মারধরও করা হয়েছে বহুবার। অবশেষে তাকে একটি নলকূপের কাছে নিয়ে গিয়ে ডিজেল ঢেলে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। জ্বালানোর জন্য শুকনো ঘাস ও এদিক-ওদিক পড়ে থাকা কাঠও ব্যবহার করা হয়।
এই বিষয়ে ময়নপুরীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, বিছওয়া থানা এলাকায় এক ব্যক্তির অর্ধ-দগ্ধ দেহ পাওয়া যাওয়ার সূচনা মেলে। পরে পুলিশের দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ওই ব্যক্তির নাম সাজিদ। তিনি গাজিয়াবাদে চাকরি করতেন। বর্তমানে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। তদন্ত চলছে। শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।
No comments:
Post a Comment