"এটি ঐক্যের মহান কুম্ভ", বাগেশ্বর ধামে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday, February 23, 2025

"এটি ঐক্যের মহান কুম্ভ", বাগেশ্বর ধামে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৩ ফেব্রুয়ারি : রবিবার মধ্যপ্রদেশের বাগেশ্বর ধামে তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন যে, "এই মহাকুম্ভ আগামী শতাব্দী ধরে ঐক্যের মহাকুম্ভ হয়ে থাকবে।  মহাকুম্ভ এখন সমাপ্তির দিকে এগিয়ে চলেছে।  এখন পর্যন্ত কোটি কোটি মানুষ স্নান করেছেন এবং সাধু-সন্তদের দর্শন করেছেন।  এই মহাকুম্ভ আগামী শতাব্দী ধরে ঐক্যের মহাকুম্ভ হয়ে থাকবে।  মানুষ সেবায় নিয়োজিত।  আজ আমি সকল পরিচ্ছন্নতা সহকর্মীদের শ্রদ্ধার সাথে অভিনন্দন জানাই।"



 তিনি বলেন, "ঐক্যের এই মহাকুম্ভে আসা প্রতিটি তীর্থযাত্রী বলছেন যে এবার ঐক্যের এই মহাকুম্ভে পুলিশ সদস্যরা যে কাজ করেছেন তা একজন সাধকের মতো, একজন সেবাপ্রিয় ব্যক্তির মতো, সম্পূর্ণ নম্রতার সাথে।  ঐক্যের এই মহান কুম্ভে দেশের মন জয়কারী পুলিশ সদস্যরাও অভিনন্দনের দাবিদার।"


 


 নরেন্দ্র মোদী বলেন, "এবার বালাজি ফোন করেছেন।  হনুমানজির কৃপায় এই বিশ্বাসের কেন্দ্র এখন স্বাস্থ্যেরও কেন্দ্রে পরিণত হতে চলেছে।"


 

 তিনি বলেন, "এখনই আমি এখানে বাগেশ্বর ধাম ক্যান্সার মেডিক্যাল অ্যান্ড সায়েন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ভূমিপূজন করেছি।  এই ইনস্টিটিউটটি ১০ একর জমির উপর নির্মিত হবে। প্রথম পর্যায়ে এটিতে ১০০ শয্যার সুবিধা থাকবে।"


 প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "ঐক্যের এই মহান কুম্ভে, হাজার হাজার ডাক্তার, হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক স্বতঃস্ফূর্তভাবে, নিষ্ঠার সাথে এবং সেবার মনোভাব নিয়ে এতে নিয়োজিত আছেন।  যারা ঐক্যের এই মহান কুম্ভে যাচ্ছেন তারা এই প্রচেষ্টার প্রশংসা করছেন।  একইভাবে, ভারতের অনেক বড় হাসপাতালও আমাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।"


 তিনি বলেন, "আমাদের মন্দির, মঠ, আমাদের পবিত্র স্থান... একদিকে এগুলো উপাসনা ও আধ্যাত্মিক সাধনার কেন্দ্র, অন্যদিকে এগুলো বিজ্ঞান ও সামাজিক চেতনার কেন্দ্রও।  আমাদের ঋষিরা আমাদের আয়ুর্বেদের বিজ্ঞান দিয়েছিলেন।  আমাদের ঋষিরা আমাদের যোগ বিজ্ঞান দিয়েছিলেন, যার পতাকা আজ বিশ্বজুড়ে উড়ছে।"


 

 প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "আজকাল আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এক শ্রেণীর নেতা আছেন যারা ধর্মকে উপহাস করেন, উপহাস করেন, মানুষকে বিভক্ত করার কাজে লিপ্ত থাকেন এবং অনেক সময় বিদেশী শক্তিও এই লোকদের সমর্থন করে দেশ ও ধর্মকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে।"


 

 তিনি বলেন, "হিন্দু ধর্মকে ঘৃণা করে এমন এই লোকেরা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে কোনও না কোনও ছদ্মবেশে বাস করে আসছে।  দাসত্বের মানসিকতায় ঘেরা এই লোকেরা আমাদের বিশ্বাস, বিশ্বাস এবং মন্দির, আমাদের সাধু-সন্ত, সংস্কৃতি এবং নীতির উপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।"


 তিনি বলেন, "এই লোকেরা আমাদের উৎসব, ঐতিহ্য এবং রীতিনীতির অপব্যবহার করে।  তারা এমন একটি ধর্ম এবং সংস্কৃতির উপর কাদা ছোঁড়ার সাহস করে যা প্রকৃতিগতভাবে প্রগতিশীল।  তাদের এজেন্ডা হলো আমাদের সমাজকে বিভক্ত করা এবং ভেঙে ফেলা।"


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad