প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৭ ফেব্রুয়ারি: অনেক বাবা-মা জানেন না যে তাদের সন্তানের কত বয়স পর্যন্ত তাদের সাথে ঘুমানো উচিৎ।যার কারণে বাবা-মা তাদের সন্তানকে দীর্ঘ সময় ধরে কো-স্লিপিং-এ রাখেন,যা শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।আজ আমরা বিস্তারিতভাবে বলতে যাচ্ছি কত বয়স পর্যন্ত বাবা-মায়েদের তাদের সন্তানদের তাদের সাথে ঘুমাতে দেওয়া উচিৎ এবং এর সুবিধা ও অসুবিধাগুলি কী কী।
কত বয়স পর্যন্ত বাবা-মায়ের তাদের সন্তানকে তাদের সাথে ঘুম পাড়ানো উচিৎ -
কিছু বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন যে বাবা-মায়ের উচিৎ তাদের সন্তানদের ৬ মাস বয়স পর্যন্ত তাদের সাথে ঘুমাতে দেওয়া। আবার অনেকে বিশ্বাস করেন যে শিশুদের ২ বছর বা তারও বেশি বয়স পর্যন্ত তাদের সাথে ঘুমাতে দেওয়া উচিৎ।
সহ-ঘুমের (Co-Sleeping) প্রকারগুলি কী কী?
বেড শেয়ারিং -
এই ধরণের ঘুমের ক্ষেত্রে বাবা-মা এবং শিশু একই বিছানায় ঘুমায়।
রুম শেয়ারিং -
এই ক্ষেত্রে রুম একই,কিন্তু বিছানা আলাদা।
অ্যাটাচড ক্রিব -
এতে শিশুর বিছানা পিতামাতার বিছানার সাথে সংযুক্ত থাকে।
কো-স্লিপিং-এর সুবিধা –
একসাথে ঘুমানো বাবা-মা এবং সন্তানদের মধ্যে বন্ধনকে শক্তিশালী করে।
এটি শিশু এবং বাবা-মা উভয়কেই ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে।
একসাথে ঘুমালে শিশুর যত্ন নেওয়া সহজ হয়।
কো-স্লিপিং-এর অসুবিধা -
বেড শেয়ারিং করার ফলে শিশুদের মধ্যে SIDS (Sudden Infant Death Syndrome)-এর ঝুঁকি বাড়তে পারে।
একসাথে ঘুমানো বাবা-মায়ের ব্যক্তিগত স্থান কেড়ে নিতে পারে।
একসাথে ঘুমালে শিশুরা তাদের বাবা-মায়ের সাথে ঘুমাতে অভ্যস্ত হতে পারে,যা পরবর্তীতে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
একসাথে ঘুমানোর সময় কী মনে রাখা উচিৎ -
যদি আপনি সন্তানকে আপনার সাথে ঘুম পাড়াতে চান,তাহলে খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে সে বিছানা থেকে পড়ে না যায়।
যদি আপনি অ্যালকোহল ইত্যাদি পান করেন,তাহলে শিশুকে আপনার সাথে ঘুম পাড়াবেন না।
এছাড়াও,যদি আপনার শিশুটি অকাল জন্মগ্রহণ (Pre-Mature) করে,তাহলে বেড শেয়ারিং করা এড়িয়ে চলুন।
No comments:
Post a Comment