নিজস্ব প্রতিবেদন, ০৫ মার্চ, মালদা : উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে ধুন্ধুমার কাণ্ড মালদায়। পরীক্ষার্থীদের মারধরে ৬ শিক্ষক আহত। শিক্ষকদের অপরাধ যে তারা পরীক্ষার হলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আগে শিক্ষার্থীদের কাছে নকল আছে কি না তার জন্য তল্লাশি করছিলেন। এর ফলে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এই ঘটনায় বৈষ্ণবনগর থানার অন্তর্গত চামাগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুরো ঘটনাটি ঘিরে সর্বত্র নিন্দার পরিবেশ বিরাজ করছে।
অবশেষে, অতিরিক্ত পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে উচ্চমাধ্যমিক ইংরেজি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। জানা গেছে, চামাগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় তিনটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্র। চামাগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে কান্দিতোয়ালা উচ্চ মাদ্রাসা, চরসুজাপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং পারলালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের চার শতাধিক পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেন।
সেদিন পরীক্ষা শুরুর আগে যখন পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি করে স্কুলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল, তখনই বিতর্ক শুরু হয়। অভিযোগ, এর পর একদল পরীক্ষার্থী স্কুলের শিক্ষকদের কক্ষে ঢুকে তাদের উপর হামলা চালায়। অনেক শিক্ষককে মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। অনেক শিক্ষক আহত হন। অবশেষে তাদের চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরীক্ষা শুরু হলেও, দিনভর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কালিয়াচক উপজেলা পুলিশ অফিসার এবং বৈষ্ণবনগর থানার আইসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্ত প্রার্থীদের শনাক্ত করা হচ্ছে।
বুধবার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদের চেয়ারম্যান চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য মালদহে ছিলেন। ঘটনার পর বিকেলে তিনি সেখান থেকে চলে যান। সংসদের স্পিকারের উপস্থিতিতে ভীত হয়ে শিক্ষকরা বলেন যে তারা আর পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি করবেন না।
No comments:
Post a Comment