বাংলাদেশের কারাগার থেকে হিংসাত্মক চরমপন্থীদের মুক্তি! আইনশৃঙ্খলার অবনতিতে উদ্বেগ প্রকাশ বিদেশ মন্ত্রকের

প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৭ মার্চ ২০২৫, ০৭:২৫:১০ : শুক্রবার ভারত বাংলাদেশের "আইনশৃঙ্খলার অবনতি" পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং বলেছে যে গুরুতর অপরাধের জন্য ইতিমধ্যেই সাজা ভোগ করা "হিংসাত্মক চরমপন্থীদের" মুক্তি পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করেছে। দিল্লীতে সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিদেশ মন্ত্রকের (MEA) মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই মন্তব্য করেন।

 জয়সওয়াল বলেন, "আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বিগ্ন, যা গুরুতর অপরাধের জন্য সাজাপ্রাপ্ত সহিংস চরমপন্থীদের মুক্তির ফলে আরও খারাপ হয়েছে।"

 ভারতের অবস্থান আরও স্পষ্ট করে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, "আমরা একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রগতিশীল বাংলাদেশকে সমর্থন করি, যেখানে গণতান্ত্রিক উপায়ে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে সমস্ত সমস্যার সমাধান করা হয়।"

 বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গঙ্গা জল চুক্তি সম্পর্কেও বিস্তারিত জানিয়েছেন, জয়সওয়াল নিশ্চিত করেছেন যে চুক্তি তত্ত্বাবধানকারী যৌথ কমিটির ৮৬তম সভা ৬ মার্চ (বৃহস্পতিবার) কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।  তিনি বলেন, "বছরে তিনবার নির্ধারিত এই নিয়মিত প্রযুক্তিগত সভাটি ১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য প্রতিষ্ঠিত কাঠামোগত ব্যবস্থার অংশ।"

 জয়সওয়াল বলেন, “বৈঠকে দুই পক্ষ গঙ্গা জল চুক্তি, জলপ্রবাহ পরিমাপ এবং পারস্পরিক স্বার্থের অন্যান্য বিষয় সম্পর্কিত প্রযুক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে।”

 সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়ে, জয়সওয়াল ভারতের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়ে, হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশাপাশি তাদের সম্পত্তি এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব।

 

 জয়সওয়াল বলেন, বাংলাদেশে ৫ আগস্ট, ২০২৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ২,৩৭৪টিরও বেশি সহিংসতার ঘটনার মধ্যে মাত্র ১,২৫৪টি পুলিশ যাচাই করতে পেরেছে।  তিনি আরও বলেন যে এই যাচাইকৃত ঘটনাগুলির ৯৮% রাজনৈতিক প্রকৃতির বলে মনে করা হচ্ছে, যা এই ধরনের মামলা পরিচালনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে।

 ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উন্নয়ন সহযোগিতা সম্পর্কে উন্নয়ন সহযোগিতার বিষয়ে, জয়সওয়াল নিশ্চিত করেছেন যে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি "ভারতের জন্য অগ্রাধিকার"।  তিনি স্বীকার করেছেন যে সাম্প্রতিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং দীর্ঘদিনের স্থানীয় সমস্যাগুলি কিছু প্রকল্পের অগ্রগতিকে প্রভাবিত করেছে।  তবে জয়সওয়াল আশ্বস্ত করেছেন যে পারস্পরিক সম্মত উদ্যোগগুলির সময়মত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য প্রকল্পের পোর্টফোলিওকে যুক্তিসঙ্গত করার উপর আনুষ্ঠানিক আলোচনা কেন্দ্রীভূত।

 পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, "বাংলাদেশ থেকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সমর্থন এবং অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা সাপেক্ষে, আমরা এই প্রকল্পগুলি এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছি।"