নিজস্ব সংবাদদাতা, ০১ মার্চ, উত্তর ২৪ পরগনা: বন্ধ ঘর থেকে মা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার। ঘটনাস্থল থেকে তদন্তকারীরা একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছেন। মধ্যমগ্রাম দোহারিয়া শৈলেশ নগর দূর্গা মন্ডপের ভাড়া বাড়ি থেকে মা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতরা গৃহবধূ মধুমিতা রায় (২৫) ও তাঁর ৫ বছরের মেয়ে প্রশংসা রায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিষক্রিয়ার কারণে মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত মহিলার শরীরে কেরোসিনের গন্ধ পাওয়া গেছে। এর ফলে পুলিশ বিশ্বাস করে যে খাবারের সাথে বিষ খাওয়ার পাশাপাশি শরীরে কেরোসিনও ঢেলে দেওয়া হয়েছিল, ফলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হয়েছে। মামলা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার জন্য তদন্তকারীরা মৃত মহিলার স্বামী সুমন দাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছেন।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত বছরের দাম্পত্য জীবন মধুমিতার। কোনও রকম কোনও ঝগড়া-বিবাদও ছিল না পরিবারে সঙ্গে। তবে শুক্রবার বিকেলে কি থেকে কি হয়ে গেল এক নিমিষে তা বুঝে ওঠার আগেই সব শেষ। মধুমিতার স্বামী পিচ-বোর্ড কারখানাতে কাজ করেন। গতকাল বিকেলে ওভারটাইমের সময় দুবার ফোনও করেন মধুমিতাকে, কিন্তু ফোন না তোলায় পাশেই মুদিখানার দোকানে ফোন করে খোঁজ নেন তার স্বামী। তখনই অন্যান্য ভাড়াটিয়া সহ প্রতিবেশীরা ঘরে গিয়ে দেখে মা ও মেয়ে দেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে।
পার্শ্ববর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই ডাক্তার দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করে। পরবর্তীতে মধ্যমগ্রাম মাতৃ সদনে নিয়ে যাওয়া হয় মা এবং পাঁচ বছরের তাদের মেয়ে প্রশংসার মৃতদেহ। পরিবারের আত্মীয়রা সহ তার স্বামী এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না কি কারণে এই রহস্য মৃত্যু।
No comments:
Post a Comment