Monday, March 10, 2025

সায়ানাইড নয় এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষ! এক কণাই কেঁড়ে নেবে প্রাণ



 প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১০ মার্চ ২০২৫, ০৫:০০:০১ : বিষের নাম শুনলেই প্রথমে যে জিনিসটি মনে আসে তা হল সায়ানাইড।  যদিও সায়ানাইড একটি বিপজ্জনক বিষ, তবুও এর চেয়েও বিপজ্জনক আরেকটি বিষ পৃথিবীতে পাওয়া যায়।  মাত্র এক গ্রাম এই বিষ হাজার হাজার মানুষকে মেরে ফেলতে পারে।  এই বিষের নাম পোলোনিয়াম-২১০। শরীরে প্রবেশ করার সাথে সাথেই বিকিরণ শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ, ডিএনএ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এত দ্রুত পরিবর্তন করে যে একজন ব্যক্তি মুহূর্তের মধ্যে মারা যেতে পারে।


 


 পোলোনিয়াম একটি ধাতু যা ইউরেনিয়াম আকরিকের মধ্যে পাওয়া যায়।  যদিও এটি সরাসরি শরীরে প্রবেশ করতে পারে না, তবে এর আলফা কণা খুব বেশি দূরে যেতে পারে না।


 

 যদি এই বিষ ভুল করে শরীরে প্রবেশ করে, তাহলে পৃথিবীর কোনও ডাক্তারই সেই ব্যক্তির জীবন বাঁচাতে পারবে না।  এই বিষ খুবই বিপজ্জনক।


 


 এর শক্তির আন্দাজ করা যায় যে, যদি এক কণা লবণও শরীরে প্রবেশ করে, তাহলে তা ব্যক্তির শেষ পরিণতি।  এটি শরীরে প্রবেশ করার সাথে সাথেই শরীরের লোম আপনাআপনি ঝরে পড়তে শুরু করে।



 এর পরে এটি শরীরে প্রবেশ করে এবং ধীরে ধীরে সবকিছু ধ্বংস করে দেয়।  এই বিষের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, যখন এটি শরীরে প্রবেশ করে, তখন এর পরিমাণ সনাক্ত করা যায় না এবং সময়মতো চিকিৎসার অভাবে ব্যক্তি মারা যায়।



 গবেষণা কেন্দ্রগুলির মতে, পোলোনিয়াম ২১০ থেকে এত শক্তি নির্গত হয় যে, যদি আধা গ্রাম পোলোনিয়াম একটি সাধারণ ওষুধের ক্যাপসুলে রাখা হয়, তবে এর তাপমাত্রা ৫০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের উপরে উঠতে পারে।


 


 দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমায় নিক্ষিপ্ত পারমাণবিক বোমায় এটি ব্যবহার করা হয়েছিল।  এই বিষয়ে করা গবেষণা অনুসারে, যদি কেউ ভুলবশত পোলোনিয়াম শ্বাসের সাথে গ্রহণ করে, তাহলে এটি কেবল ক্যান্সারের কারণ হতে পারে না বরং এর ডিএনএ পরিবর্তন করার ক্ষমতাও রয়েছে।


 

No comments:

Post a Comment