নিজস্ব প্রতিবেদন, ০১ মার্চ, কলকাতা : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের পর তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) রাস্তায় নেমেছে। তবে, যখন তারা যাদবপুর থানায় পৌঁছায়, তখন বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআই তাদের মুখোমুখি হয়। এটি নিয়ে প্রচুর উত্তেজনা রয়েছে। তবে, পুলিশ দুই পক্ষের মাঝে ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়েছিল। অন্যদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেও পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রীকে নিগ্রহ করার প্রতিবাদে সুকান্ত সেতু থেকে মিছিলের ডাক দেয় তৃণমূল। যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষ, প্রতিমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং অন্যান্যরা মিছিলে যোগ দেন। যাদবপুর থানার সামনে তারা এসএফআই সদস্যদের মুখোমুখি হয়। এতে আরও উত্তেজনা বাড়ে। বাম ছাত্র সংগঠনের উদ্দেশ্যে সায়নী বলেন, "শান্ত যাদবপুরকে অশান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।" অন্যদিকে, অরূপ সতর্ক করে বলেন, "আগুন নিয়ে যেন কেউ না খেলে। শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির ধাক্কায় আহত হওয়ার দাবী মিথ্যে।" তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। যাদবপুর থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত লোকেরা গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ করছে। কিন্তু তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।
শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি ওয়েবকুপার সভাকে কেন্দ্র করে পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু যখন সভায় যোগ দেন, তখন বিক্ষোভ দেখা দেয়। পরে, যখন তিনি চলে যাচ্ছিলেন, তখন তার গাড়িতে হামলা চালানো হয়। বনেটে লিখে দেওয়া হয়, "ব্রাত্য বসু চোর।" এছাড়াও, বিক্ষোভকারীরা "চোর-চোর" এবং "গো ব্যাক" স্লোগানও তোলেন। এই কঠিন পরিস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির কাচও ভেঙে যায়। বলা হচ্ছে যে সে সময় তিনি আহত হন।
বলা হচ্ছে যে শিক্ষামন্ত্রীর কোমর এবং হাতে আঘাত লেগেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "আমার অধ্যাপকদের মারা হয়েছে। আমার খবর নেওয়ার আগে তাদের খবর নিন। এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে তৃণমূলকে দমানো যাবে না। ওরা আজকেই নির্বাচনের দিন জানাতে বলছে। ৪ জন মিলে আলোচনায় বসতে চাইছে না। ডেপুটেশনও জমা দিতে পারত। কিন্তু করেনি। এরা নৈরাজ্য ছাড়া কিছু চাইছে না।"
No comments:
Post a Comment