প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ০৫ মার্চ : আমরা পৃথিবীর যেখানেই যাই না কেন, আমরা সর্বদা আমাদের মাতৃভূমির জন্য গর্বিত। সর্বোপরি, আমাদের পরিচয় আমাদের জন্মস্থান থেকেই আসে। আজ আমরা আপনাদের এমন একটি জায়গা সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি, যেখানে তাদের কাছে গ্রামের নাম গর্বের বিষয় নয় বরং লজ্জার বিষয়। তার সবচেয়ে বড় দুঃখ হলো, ভালো বা খারাপ সময়ে, সে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার নাম দেখতে পায় না।
একটি জায়গার নাম যেকোনও হতে পারে - জালেবি এবং বন্দরপুর থেকে শুরু করে খাটোলা, খটিয়া, খজুরপুর ইত্যাদি। তবে, মানুষ এই নামগুলো বলতে ততটা দ্বিধা করে না, যতটা সুইডেনের লোকেরা সেখানকার গ্রামের নাম বলতে দ্বিধা করে। তারা ভয় পাচ্ছে যে তাদের গ্রামের নাম লেখার পর ফেসবুক তাদের ব্লক করে দিতে পারে। এখন জায়গার ইতিহাস গৌরবময় হতে পারে, কিন্তু নামটি মোটেও গৌরবময় নয়।
গ্রামের নাম লিখলে ফেসবুক আপনাকে ব্লক করে দেবে।
ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন অনুসারে, এই গ্রামটি পুরনো এবং বেশ সুসংগঠিতও। এখানকার আবহাওয়া বা ব্যবস্থা নিয়ে এখানে বসবাসকারী মানুষের কোনও সমস্যা নেই, তবে তাদের একমাত্র সমস্যা হল এই গ্রামের নাম। তারা চায় যে কোনওভাবে গ্রামের নাম পরিবর্তন করা হোক, যাতে তারা কোনওভাবে সোশ্যাল মিডিয়া সেন্সরশিপ থেকে বাঁচতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, যখনই গ্রামবাসীরা তাদের বাড়ির ঠিকানা বা ব্যবসার বিজ্ঞাপন ফেসবুক বা অন্য কোনও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে, তখনই এটিকে অশ্লীল বিষয়বস্তু হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং সরিয়ে ফেলা হয়। গ্রামবাসীরা চাইলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের গ্রামের নাম লেখেন না।
আমরা যে গ্রামের কথা বলছি তার নাম 'ফাকে'। ইন্টারনেটে অনেক ছবিতে আপনি এই নামের সাইন বোর্ড পাবেন, কিন্তু এখানে বসবাসকারী লোকেরা এই ট্যাগটি দেখে বিরক্ত। এই গ্রামের নামকরণ করা হয়েছিল ১৫৪৭ খ্রিস্টাব্দে এবং এটি ঐতিহাসিক। এই কারণেই সুইডেনের জাতীয় ভূমি জরিপ বিভাগও গ্রামের নাম পরিবর্তন করতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। মজার ব্যাপার হল, গ্রামে মাত্র ১১টি বাড়ি এবং এখানে বসবাসকারী লোকেরা গ্রামের নাম বলতে লজ্জায় মাথা নত করে।
No comments:
Post a Comment